খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ও আমাদের জাতীয় উন্নয়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার কাজে সশস্ত্র বাহিনীর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ভাটিয়ারীস্থ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে বিএমএ ৭৩তম দীর্ঘ মেয়াদি এবং ৪৪তম স্বল্পমেয়াদি কোর্সে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এই দুই ব্যাচের ক্যাডেটদের সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং সেরা ক্যাডেটদের পুরস্কৃত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৭ বছরে সরকার সেনাবাহিনীকে একটি গতিশীল, চৌকস এবং যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনীতে নতুন নতুন ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে সেনাবাহিনীর অপারেশন সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষানীতির আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে আমরা সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের বুকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে তুলে ধরা।’
সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল। আমাদের অর্থনীতি সুদৃঢ় ভিক্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। মানুষের মাথা পিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। ৫ কোটি মানুষের মধ্যে আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২২. ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের রির্জাভ ২৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদায়ী ক্যাডেটদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা সোনার বাংলার সেই সোনার ছেলে। আমার প্রত্যাশা আপনারা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করবেন।’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিদায়ী ক্যাডেটদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।