খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ : আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটির আহ্বায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, পেট্রোলবোমা মেরে যারা মানুষ হত্যা করেছে বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে অনুদান দিয়ে প্রমাণ করলেন যে, তিনি সন্ত্রাসীদের গড ফাদার।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করেন। তার ছেলে তারেক জিয়া এবং তিনি নিজে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে এবং প্রশ্রয় দিয়ে পেট্রোলবোমা মারার নির্দেশ দেন। তিনি বাংলার মানুষকে ভালোবাসেন না। তিনি পাকিস্তানিদের ভালোবাসেন। তিনি পাকিস্তানি চর।
মন্ত্রী আজ পুরানো ঢাকার আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটির সাথে আওয়মী আইনজীবী পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মহাসচিব শাহাবুদ্দিন, ঢাকা আইনজীবী সমিতি মহিলা শাখার সভাপতি কাজী শাহনারা, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক প্রমূখ।
শাজাহান খান আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার কমিটি গঠনের পেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান চাচ্ছে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মত গোলযোগপূর্ণ রাষ্ট্র হোক। তাদের দালালদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান স্থিতিশীল পরিবেশকে অস্থিতিশীল করা।
শাজাহান খান বলেন, একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানকে কিভাবে হত্যা করে। যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার কাছে যুদ্ধাপরাধীদের তথ্য রয়েছে। কারণ উনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বেগম জিয়া পাকিস্তানীদের মনোরঞ্জন করেছেন। তিনি কিভাবে শহীদদের সংখ্যা বলতে পারবেন।
ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়টি আমরা বাংলাদেশের ঘোষণাপত্রের প্রথম দিকে নিয়ে এসে ছিলাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলে ৪ নেতা হত্যা, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা সবই গণহত্যা।
তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর মতো ব্যক্তির ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে। ৭১ সালে ৩০ লাখ লোককে পাকিস্তানরা মেরেছেন আমরা তা পরিসংখ্যান করেছিলাম। এ বিষয়গুলো বেগম খালেদার জানার কথা নয়। তিনি তখন শত্রু শিবিরে ছিলেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের উচিত বেগম জিয়াকে বাদ দেয়া।