Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: আমদানি শুল্ক বাড়ানোর আগাম খবরে চিনির দাম হঠাৎ কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গিয়েছিল; ঘোষণার পর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও দুই টাকা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা চিনি ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে মিলেছিল। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবি আর) চিনি আমদানিতে নতুন করে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ করে। একইসঙ্গে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির আমদানি মূল্যও টনপ্রতি ৩০ ডলার বাড়ানো হয়। এর ফলে অপরিশোধিত চিনির আমদানিমূল্য প্রতি টন ৩২০ ডলার থেকে বেড়ে ৩৫০ ডলার, আর পরিশোধিত চিনির আমদানিমূল্য প্রতি টন ৪০০ থেকে বেড়ে ৪৩০ ডলার দাঁড়িয়েছে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রভাবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চিনির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও বেসরকারি খাতের চিনি পরিশোধনকারিদের দাবি তারা এখনও দাম বাড়াননি। দেশের অন্যতম চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক বাড়াবে এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকে চিনির দাম বাড়ছে। তবে আমরা এখনও মিল গেটে দাম বাড়াইনি।” অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া ও মিল গেটে দাম বাড়ায় চিনির দাম বেড়েছে। মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আলী ভুট্টো বলেন, “পাইকারি বাজারে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। তবে সরকার যে হারে শুল্ক বাড়িয়েছে সেই হিসেবে দাম এখনও কম।
আগামীতে চিনির দাম আরেকটু বাড়বে।” বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারে প্রতি মণ চিনি ১৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির পাইকারি দর ছিল ৪২ টাকা ৬৬ পয়সা। মিল মালিকরা একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে দাম বাড়াচ্ছে বলে জানান তিনি। সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য মতে, এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে ২ থেকে ৩ টাকা টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ৮৪ থেকে ৮৫ টাকায় পাওয়া গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে পেঁয়াজ, বসুন, আদা, আলুর দাম কমছে।
এর মধ্যে দেশি নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। দেশি রসুন পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আর আদা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আলু বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে শীতের সবজির দাম কমছে না। বিশেষকরে ফুল ও বাঁধাকপি, লাউ, টমোটোর দাম এখনও মৌসুমের শুরুর মতই।