Sun. Sep 14th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪, 30রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: নতুন বেতন কাঠামোয় কি পাচ্ছেন, তা না জেনেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা আন্দোলনে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এক বৈঠকের পর রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা তো আন্দোলনেই যাচ্ছেন। তারা সবসময় তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার বিষয়ে আমার বিজ্ঞপ্তিতে দেখেন, তাহলে দেখবেন কিছুই নাই।”
বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা।
এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিলেও তার ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে তার মধ্যে প্রথম দুটির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
শিক্ষকদের বিরোধিতার মধ্যে সরকার অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছিলেন।
আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “আমরা একটা মিটিং করেছিলাম। কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। আমরা সেটা সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিয়েছি। তারা সেটা এখনও সমাধান করেনি।”
তিনি বলেন, “আমি এক সময় বলেছিলাম, জাতীয় অধ্যাপকদেরকে সুপার গ্রেডে নেব। কিন্তু আমি এটা প্রত্যাহার করেছি। আমার বোন জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। সে আমাকে বলল, আমরা তো সরকার থেকে একটা থোক ছাড়া কিছু পাই না, যে থোক সচিবদের বেতনের সমান। আর কিছু না। নো হাউজিং।
“সেখানে আমি মুখে বলেছিলাম, শিক্ষায় প্রচুর গ্রেড-১ কর্মকর্তা রয়েছেন, সেখান থেকে কোনো একটা পদ্ধতি বের করতে হবে, যাতে এক-দুই জনকে আনা যায়।”
প্রশাসনে ১০ জন জ্যেষ্ঠ সচিব প্রায় দুই লাখের প্রতিনিধিত্ব করছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাবলিক-প্রাইভেট মিলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ১১ হাজার। দুই লাখ থেকে হয় ১০ জন। ১১ হাজার থেকে একজনও তো হয় না।”
এই অবস্থার সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সমাধান দেওয়ার মতো কিছু নাই।”
শিক্ষকরা হার্ডলাইনে থাকতে পারেন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “তারা আন্দোলন করছেন, আবার বলব, ‘না জেনে’। কি তারা পাচ্ছেন, তা জানেনই না।”
কমপ্লিট শাটডাউন হলে কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেখা যাক, সেই স্টেজে কখন যাই।