Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

32খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬ :সন্তানের আসা ঠেকাতে কনট্রাসেপ্টিভ ব্যবহার আজকাল খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে নানাবিধ সামগ্রী বাজারে রয়েছে। চিকিৎ‍সকের পরামর্শ মতো তা ব্যবহারও করে থাকেন। কিন্তু যদি এমন হয় যে, আপনি সঙ্গমের আগে নিজের ইচ্ছেমতো বীর্যপাতের রাস্তা বন্ধ করলেন। আবার নিজের ইচ্ছেমতো তা খুলেও দিলেন। অবাক লাগছে? তা হলে আর মাস তিনেক অপেক্ষা করুন। এমন পদ্ধতির সন্ধান হয়তো আপনার চিকিৎ‍সকই আপনাকে বাতলে দিতে পারেন।
তবে বুদ্ধিটা কোনও চিকিৎ‍সকের মাথা থেকে বের হয়নি। বেরিয়েছে একজন ছুতোরের মাথা থেকে। জার্মানির ক্লেমেন্স বিমেক নামে ওই ব্যক্তি টিভিতে কনট্রাসেপ্টিভ নিয়ে একটি শো দেখার সময় হঠাৎ‍ করে এই সুইচের কথা ভাবেন। যেটা সেক্সের আগে অফ করে রাখলে বীর্যপাত আটকে দেবে। পুনরায় অন করলে স্বাভাবিকভাবেই কাজ করবে অণ্ডকোষ। এই সুইচটি আপনার শরীরে মধ্যেই অপারেসনের সাহায্যে বসিয়ে দেওয়া হবে। নিজের ইচ্ছেমতো আপনি তা অন-অফ করতে পারবেন।
ক্লেমেন্স বলেন, ‘আমি অনেক ডাক্তারের কাছে এই সুইচের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েছিলাম। প্রায় সকলেই এক কথায় উড়িয়েই দিয়েছিলেন মায়। মাত্র হাতে গোনাকয়েকজন চিকিৎ‍সক আমার এই সুইচের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা দিয়ে আমায় সাহায্যও করেন। তার পর আমি পুরোপুরি এটা বানাতে সক্ষম হই।’ আপাতত ক্লেমেন্স নিজের শরীরেই এই সুইচ বসিয়ে রেখেছেন। তবে এটা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। অনেকে প্রশ্ন করবেন, যদি বীর্যপাত না হয়, তবে সেটা কোথায় যাবে? চিকিৎ‍সকরা জানাচ্ছেন, তা শরীরেই শোষিত হয়ে যাবে। যেমনটা হয় ভ্যাসেকটমি করানোর পর।
যদি সত্যিই এই সুইচ চালু হয়, তবে চিকিৎ‍সা বিজ্ঞানে এক নতুন পথ খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ জার্মান ইউরোলজিস্ট-এর মুখপাত্র উল্ফগ্যাং বুহমান বলেন, ‘আমার মতে এই সুইচ যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকী দীর্ঘ দিন ব্যবহার করলে সুইচ অন থাকা অবস্থায়ও আর বীর্যপাত নাও হতে পারে।