খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার,১২জানুয়ারি ২০১৬: দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের লক্ষ্যে নতুন বছরের শুরুতে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। বিগত বছরগুলোতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চলতি বছর ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালকে তারা নিয়েছে চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে।
এ লক্ষ্যে বছরের শুরুতেই উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিপণন কৌশল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই মার্সেল গ্রহণ করেছে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা। পণ্যের মান উন্নয়নে জোরদার করা হয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম। বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে মার্সেলের সার্ভিস পয়েন্টগুলোকে।
জানা গেছে, পণ্য উৎপাদনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করা, বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবা, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং সর্বোপরি দেশের প্রায় সর্বত্র বিক্রয়কেন্দ্র থাকায় যাত্রা শুরুর মাত্র কয়েক বছরেই ক্রেতাদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য। দেশের ভেতরেই নিজস্ব কারখানায় তৈরি মার্সেলের ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, জেনারেটরসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সে অতি অল্প সময়ে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরও ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই মার্সেল ব্যান্ডের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে রিচার্জেবল ল্যাম্প, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ইন্ডাকশন কুকার, রিচার্জেবল ফ্যান, গ্যাস স্টোভ, সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক স্ইুচ, সকেট এবং ফ্যান রেগুলেটর।
এ ছাড়া রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, রাইস কুকার ও ব্লেন্ডারসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইন ও মডেল। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ওভার হেড কস্ট কমেছে, কমেছে পণ্যের দামও। মার্সেল ব্র্যান্ডের বৈচিত্র্যময় মডেলের এসব পণ্য মানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। দামেও অনেক সাশ্রয়ী। বর্তমানে, মার্সেলের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২৫টি পণ্যের প্রায় দেড় শ আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেলের পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ২০ মডেলের এলইডি এবং ১২টি মডেলের কালার লাইন টেলিভিশন, সাত মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, পাঁচটি মডেলের মোটরসাইকেল, সাতটি মডেলের জেনারেটর, আটটি করে মডেলের এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক স্ইুচ, রাইস কুকার এবং ব্লেন্ডার, ছয়টি মডেলের আয়রন মেশিন, চারটি করে মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি এবং সিলড লিড অ্যাসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, তিনটি মডেলের রিচার্জেবল ফ্যান, দুইটি করে মডেলের রিচার্জেবল ল্যাম্প, ইন্ডাকশন কুকার, ওভেন, রুম হিটার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ও গ্যাস স্টোভ এবং একটি করে মডেল রয়েছে ওয়াটার পিউরিফায়ার, ফ্যান রেগুলেটর, হোল্ডার, এয়ার কুলার, ভোল্টেজ প্রোটেকটর ইত্যাদির।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, “দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের লক্ষ্যে ২০১৬ সালকে চ্যালেঞ্জিং বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। ২০১৬ সালে গ্রাহকদের নতুন কিছু উপহার দিতে প্রোডাক্ট লাইনে যোগ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সে। পাশাপাশি ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্যে আনা হয়েছে নতুন মডেল ও ডিজাইন।