Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

32খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৬: প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি শেষে সাতক্ষীরা চলে যেতে চেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট চাইল, চোটের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠাতে। মুস্তাফিজ তাতে রাজি হলেন না। যদি বাড়িই যেতে না-ই পারেন, তাহলে দলের সঙ্গে খুলনায় থেকে যেতে চাইলেন। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রস্তাবটা সাদরে গ্রহণ করে মুস্তাফিজকে রেখে দিলেন খুলনায়।
শেষ দুই ম্যাচের দলে না থেকেও তাই দলের ছায়া হয়েই আছেন মুস্তাফিজ। বল না করলেও অনুশীলনে যাচ্ছেন, খেলার দিন মিশে থাকছেন দলের সঙ্গে। এমনকি আজ সকালে সিটি ইন হোটেলে দলের ‘রিভিউ মিটিংয়ে’ও উপস্থিত হতে দেখা গেল তাঁকে।
কাঁধের ব্যথা এখনো পুরোপুরি যায়নি। ফিজিও-ডাক্তাররা চাইলে ব্যথাটা সাময়িকভাবে কমিয়ে মুস্তাফিজকে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই ঝুঁকিটা নেওয়া হচ্ছে না। যদিও দল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, সবাইকে চমকে দিয়ে মুস্তাফিজকে মাঠে নামানোর চেষ্টা হতে পারে কালকের শেষ ম্যাচে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছে নাকি সেরকম প্রস্তাব গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। ১৪ জনের দলে মুস্তাফিজ না থাকার পরও এটা সম্ভব হতে পারে কেবল চোট বা অন্য কোনো কারণে কোনো খেলোয়াড় হঠাৎ দলের বাইরে চলে গেলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেরকম কোনো খবর অবশ্য নেই।
জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম ও ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েনের তত্ত্বাবধানে এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে মুস্তাফিজের। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের নিয়মিত কাজগুলোর মধ্যে রেখেই চেষ্টা চলছে চোট সারিয়ে তোলার। পুনর্বাসনের সঙ্গে চলছে চিকিৎসা এবং ওষুধ খাওয়া। চিকিৎসক, ফিজিওদের পরামর্শ—পুরোপুরি ব্যথামুক্ত না হলে যেন মাঠে নামানো না হয় মুস্তাফিজকে। স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা না হলেও শুধু সেগুলো দিয়ে তো আর নিজের বোলিংয়ের বিষটা ছড়াতে পারবেন না! হাত থেকে আপনাআপনিই বেরিয়ে আসবে কাটার-স্লোয়ার। আর মুস্তাফিজের সমস্যাটা ওই বিশেষ ডেলিভারিগুলোই হচ্ছে বেশি! সে জন্য আপাতত বোলিং অনুশীলনও বিপদের কারণ হতে পারে তাঁর জন্য। ব্যথা তখন আরও বেড়ে যেতে পারে।
খুলনায় দলের সঙ্গে থেকেও আপাতত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষাই করতে হচ্ছে মুস্তাফিজকে। অবশ্য কাল সিরিজ শেষে কদিনের জন্য নাকি বাড়িও ঘুরে আসতে পারেন সাতক্ষীরার এই তরুণ।