খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬: রাজধানীর দক্ষিণখানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চিকিৎসার জন্য আজ শনিবার ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত ওই কিশোরী। পূর্ব পরিচিত মোছা. সাথী নামের এক নারী তাকে বেশি বেতনে গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হওয়ার পর ওই কিশোরীকে গত ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণখানের আজমপুরে খলিলুর নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যান সাথী। কিশোরীকে ওই বাড়িতে কাজ করতে বলেন খলিলুর। এরপরে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন খলিলুর। গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে দূর সম্পর্কের আত্মীয় ফিরোজ হাওলাদারকে এ ঘটনাটি জানায় ওই কিশোরী। ফিরোজ দক্ষিণখান থানায় অভিযোগ করলে গতকাল রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় খলিলুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশয়। অন্য দুজন হলেন হাতেম আলী (৫৫) ও সাথী (২৫) নামের সেই নারী।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে খলিলুরের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ও অসামাজিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য কিশোরীকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।