Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

36খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬: দেড় মাস ধরে গ্যাস কম আসছিল রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের রিফাত আরা ফেরদৌসের বাড়িতে; রোববার সকালে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখেন, গ্যাস একেবারেই নেই।
“আগে কম গ্যাসে কোনো রকম রান্না করা গেলেও তাও বন্ধ হয়ে গেল,” দুপুরে বলেন রিফাত।
রান্না না হওয়ায় দুপুরে খাবার কিনতে হয়েছে তাকে। এরপর বিকাল ৪টার দিকে আবার গ্যাস আসতে থাকে বলে জানান এই গৃহিনী, যদিও আগের মতোই চাপ কম।
নিউ ইস্কাটনের আরও কয়েকজন বাসিন্দা বলেছেন, মাসখানেক ধরে গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ কম পাচ্ছেন তারা।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান দুই কিলোমিটার দূরের তেজগাঁও দক্ষিণ বেগুনবাড়ির ফেরদৌসী সুলতানাও।
তিনি বলেন, “গত দুই মাস ধরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এই সময়ের মধ্যে লাইনে যে গ্যাস আসে, তাতে রান্নাবান্না সম্ভব হয় না। খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।”
মিরপুরের আগারগাঁওয়ের শাপলা হাউজিংয়ের বাসিন্দা মাহিনুর বেগম জানান, তারা গত দেড় মাস ধরে দিনে ২/৩ ঘণ্টার জন্য গ্যাস পেতেন। গত দুইদিন ধরে একদমই পাচ্ছেন না।
আগারগাঁওয়ের পাশের শ্যামলী এলাকার সাদিয়া জাহান বলেন, তারা এখন ইলেকট্রিক চুলায় রান্নাবান্না করছেন।
“ডিসেম্বর থেকে এলাকায় গ্যাস সঙ্কট। গত এক সপ্তাহ ধরে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস আসা বন্ধ।”
গ্যাস সঙ্কটে মাটির চুলায় রান্নার এই ছবি চট্টগ্রামের, একই সঙ্কট চলছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়ও গ্যাস সঙ্কটে মাটির চুলায় রান্নার এই ছবি চট্টগ্রামের, একই সঙ্কট চলছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়ও
একই রকম সমস্যার কথা যেমন এসেছে রাজধানীর দক্ষিণ প্রান্তের পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে, তেমনি এসেছে উত্তর প্রান্তের উত্তরা এবং পূর্ব প্রান্তের বাড্ডার বাসিন্দাদের কাছ থেকে।
এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা বলেছেন, বাড়িতে রান্না করতে না পেরে বাইরে থেকে খাবার কিনতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করতে গেলেও খরচ বাড়ছে।
গ্রাহকদের ‘শত শত’ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অভিযোগ কেন্দ্রের টেকনিশিয়ান বাচ্চু মিয়া।
“গ্যাসের চাপ কম তো, তাই সরবরাহ কম,” বলেই তিনি অচিরেই সমস্যা সমাধানের আশা দেখান।
তিতাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বর্তমানে দৈনিক প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও তিতাস পাচ্ছে প্রায় ১৭শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। ৩০০ মিলিয়ন গ্যাসের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।”
তবে তিতাসের পরিচালক (অপারেশন্স) প্রকৌশলী আলী আশরাফ সমস্যার জন্য শীতের এই সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন।
“শীতের সময় আবাসিক গ্রাহকদের চাহিদা অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি থাকে। তাই এই সময়টায় একটু সমস্যা হয়,” বলেন তিনি।
এছাড়া ‘কিছু ছোটখাটো কারিগরি সমস্যার’ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “এগুলো রাতের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।