Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

25-01-2016খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ : বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও সংগঠনের অধিকার সংকোচিত করার মাধ্যমে এক ব্যাক্তির শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তৎকালীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল। আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার হুমকির মুখে।

আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে “২৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস স্মরণে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সোলায়মান সোহেল, মোঃ বেলাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, স্বাধীনতা ৪৪ বছরেও আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে ব্যর্থ হয়েছি। শাসকগোষ্টির ব্যর্থতার কারণে বার বার গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। আর স্বাধীনতার অল্প সময়ের মধ্যেই ৭৫-এর ২৫ জানুয়ারী বহুদলীয় গণতন্ত্রের কফিনের উপর বাকশাল প্রতিষ্টার মাধ্যমে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। তিনি বলেছেন, শাসকগোষ্টি নিজেদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সংকোচিত করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমান করছে তারা বাকশালী চেতনা এখনও ধারণ করছে। ৭৫এর মত আবারো একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, অপশাসন দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। বাকশালী চেতনায় সরকার রাষ্ট্রের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হচ্ছে। অনৈতিক এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক চেতনায় গণআন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নাই।