খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬: প্রত্যেক কোম্পানিরই নিজস্ব কিছু ভাষা আছে। যা একমাত্র কোম্পানির কর্মচারীরাই বোঝেন। বাইরের কোনও মানুষের পক্ষেই তাদের ওই কোড কথা বোঝার সম্ভব হয় না। ‘ফেসবুক’ও এমন একটি কোম্পানি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী কাজ করেন। তাঁদের কোম্পানিরও নিজস্ব কিছু কোড কথা আছে। যা ফেসবুক ইউজাররা বোঝেন না। এবার ফেসবুকের এমনই ১০টি কোড কথা যেনে নিনৃ
১. টিএনআর ২৫০ (ঞঘজ ২৫০) টিএনআর-এর পুরো কথা হল “ঞযব ঘড়াঁবধঁ জরপযব ২৫০″। অর্থাৎ হঠাৎ নবাব। ফেসবুক কোম্পানির যে কর্মচারি কোম্পানির ঘরে দশ লক্ষ্য টাকা আয় করাতে পেরেছেন তাঁকেই এই আখ্যা দেওয়া হয়।
২. বুটক্যাম্প (ইড়ড়ঃপধসঢ়) এই কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার ৬ সপ্তাহ বাদে নতুন কর্মচারিদের গ্রুপ ঠিক করা হয়। ৬ সপ্তাহ কাটানোর পর তাদের গ্রাজুয়েট বলা হয়। এই গ্রাজুয়েটদের বুটক্যাম্পের মাধ্যমে গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়।
৩. ফেসভারসারি (ঋধপবাবৎংধৎু) প্রতি বছর কোম্পানিতে এই অ্যানিভারসারি পালন করা হয়। কোম্পানির প্রতিটি কর্মচারির কাজের দিনের পরিধি অনুসারে এই দিন পালন করা হয়। এর থেকে বোঝা যায় কে কত বছর ধরে কোম্পানিতে কাজ করছেন।
৪. গেম ডে (এধসব উধু) প্রতি বছর বসন্তকালে এই দিন পালন করা হয়ে থাকে। কোম্পানির কাছাকাছি একটি পার্কে সমস্ত টিমের মেম্বাররা এসে জমায়েত হন। ওই দিন প্রত্যেকেই উজ্জ্বল রঙের জামা পড়েন।
৫. এপিক (ঊঢ়রপ) এটা কোনও বিশেষণ নয়। কোম্পানির প্রধান ক্যাফেটেরিয়াকে এপিক বলা হয়।
৬. লিভিন দ্য ড্রিম (খরারহ’ ঞযব উৎবধস) স্লোগান নয়, এটাও ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা একটা ক্যাফেটেরিয়া। কোম্পানির প্রথম রাঁধুনির স্বরণে এই ক্যাফেটেরিয়া বানানো হয়েছিল। ২০১৩ সালে একটি বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান এই রাঁধুনি।
৭. লিটিল রেড বুক (খরঃঃষব জবফ ইড়ড়শ) ২০১২ সালে এই বই তৈরি করা হয়। সেই বছরই প্রথমবার ফেসবুকের ব্যবহারকারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ লক্ষ কোটিতে। এছাড়া এই বইতে ফেসবুকের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা আছে।
৮. ২০ (২০) কোম্পানির নতুন ক্যাম্পাসের নাম দেওয়া হয়েছে ২০। যেখানে অবসর সময় কর্মচারিরা সাইকেলে ঘুরতে পারবেন। এমনকি ক্যাফেটেরিয়া, রান্নাঘর এবং কনফারেন্স রুমও রয়েছে নতুন ক্যাম্পাসের মধ্যে।
৯. গ্র্যাভিটি রুম (এৎধারঃু জড়ড়স) অবসর যাপন এবং শুধুমাত্র মজার ছলেই এই গ্র্যাভিটি রুম বানানো হয়েছে। যেই ঘরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই।
১০. হ্যাকার স্কোয়ার (ঐধপশবৎ ঝয়ঁধৎব) হ্যাকার স্কোয়ার নাম শুনলেই যেন মনে হয় হ্যাক করা হচ্ছে। তবে একেবারেই তা নয়। কারণ এই হ্যাকার স্কোয়ারের মধ্যেই মূলত অনুষ্ঠানগুলি হয়ে থাকে। যেখানে প্রত্যেকজন কর্মচারি একে ওপরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। সূত্র: কলকাতা