Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : ব্রিটিশ এক বিজ্ঞানীর বানানো একটি গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে চাঁদে অবতরণ আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আলোচিত কিছু ‘কনস্পিরেসি থিওরি’।
ড. ডেভিড গ্রিমস নামে ওই বিজ্ঞানীর দাবি, তার পরীক্ষা করা চারটি ‘কনস্পিরেসি থিওরি’র সবগুলো নিয়েই করা সন্দেহ যদি সত্য হতো, তবে দাবীগুলো এতদিন আর টিকে থাকতো না।
সন্দেহগুলো সত্যি হলে তিন বছর আট মাসে চাঁদে অবতরণের ঘটনা, তিন বছর নয় মাসের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের থিওরি, তিন বছর দুই মাসের মধ্যে টিকাবিষয়ক থিওরি আর তিন বছর তিন মাসের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিকারের থিওরি নিয়ে হওয়া গুঞ্জন আরও প্রকট আকার ধারণ করতো- অংক করে মিলিয়েছেন গ্রিমস—জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর মন্ত্রণালয়ের সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনের ঘটনাসহ আসলেই ঘটেছে এমন তিনটি ঘটনা নিয়ে নিজের সূত্র দিয়ে হিসাব করেন এই ক্যান্সার গবেষক। অনুসন্ধানের পর তিনি বের করেন যে, কোনো ঘটনা মিথ্যা ঘটনাকে যদি এক দশকের বেশি সময় ধরে ‘সত্য’ হিসেবে রাখতে হয়, তবে এই বিষয়ে জানে এমন মানুষের সংখ্যা অবশ্যই হাজারের নিচে হতে হবে।
কোনো ঘটনা ৫ বছর ধরে গোপন রাখার মানে হচ্ছে ২৫২১ জনের বেশি মানুষ এই বিষয়ে সত্যটা জানতে পারবেন না। শতাব্দী ধরে কোনো ঘটনা এমন গোপন রাখতে হলে ওই ঘটনায় জড়িত মানুষের সংখ্যা ১২৫ জনের কম হতে হবে।
এ ধরনের ঘটনাগুলো নিয়ে কয়েক বছর ধরে অনেক চিঠি পাওয়ার পর, এ বিষয়ে তদন্ত চালাতে উৎসাহিত হোন এই বিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, “বিজ্ঞান সম্পর্কিত কতগুলো কনস্পিরেসি থিওরি রয়েছে। চাঁদে অবতরণ ভুয়া ছিল তা বিশ্বাস করা হয়তো ক্ষতিকর ছিল না, তবে টিকা নিয়ে ভুল তথ্য বিশ্বাস করা ক্ষতিকর হতে পারে। যাই হোক, প্রতিটি ঘটনা নিয়ে থাকা সন্দেহই যে ভুল হতে হবে তা নয়- উদাহরণস্বরূপ, স্নোডেন ঘটনার উদঘাটন ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি-এর কর্মকাণ্ড নিয়ে কিছু থিওরিকে নিশ্চিত করেছে।”
তার সূত্র অনুযায়ী, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে চন্দ্রাভিযানের ‘ভূয়া’ ঘটনাটি সত্যি বলে চালানোর জন্য ওই সময়ে অন্তত চার লাখ লোক মিলে এই প্লট তৈরি করা দরকার ছিল— গবেষক গ্রিমের মতে যা প্রায় অসম্ভব।