বুধবার বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন। মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন সাংবাদিকদের বলেন, “প্লট বরাদ্দের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় আজ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তার (মির্জা আব্বাস) বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলাসহ তিনটি মামলা ছিল। সব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর হওয়ায় আপাতত কারামুক্তিতে বাধা নেই।”
অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন বলেন, “এ মামলার এফআইআরে (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না, কিন্তু পরে তদন্ত করে রিপোর্টে আব্বাসের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।”
এর আগে একই মামলায় হাইকোর্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলের নিষ্পত্তি হলো আজ। এ মুহূর্তে বিএনপির এই নেতা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের মধ্যে যেসব প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন, তাতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।
সে মামলায় জামিন চাইতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আব্বাস। শুনানি করে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গত ৭ ফেব্র“য়ারি জামিন আবেদন করেন।