Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশের রিজার্ভের ৮১ কোটি ডলার লোপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার 3kঅভিযোগে রিজল ব্যাংকের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া সানতোস দেগিতোসহ পাঁচ জনকে তলব করেছে ফিলিপিন্সের বিচার বিভাগ।
এই ঘটনায় দায়ের করা মুদ্রা পাচারের মামলার প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া দেশটির সহকারী প্রসিকিউটর গিলমারি ফে পাকমার শুক্রবার তাদের প্রতি সমন জারি করেন বলে ফিলিপিন্সের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
দেগিতোসহ ওই চারজনকে আগামী ১২ ও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হয়ে লিখিত জবানবন্দি ও সমর্থনে প্রমাণাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যরা হলেন- মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলফ্রেড সান্তোস ভারজারা ও এনরিকো তিয়োডোরো ভাসকুয়েজ।
সমনে বলা হয়েছে, “এই নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে আপনাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রহিত এবং মামলাটি নথিভুক্ত দলিলাদির ভিত্তিতে নিষ্পত্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।”
এই মামলার বাদী ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষকেও (এএমএলসি) শুনানিতে হাজির থাকতে সমন জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এর মধ্যেই ফিলিপিন্সের সিনেটে নির্বাহী অধিবেশনে শুনানি হয়েছে, যাতে দেগিতো জবানবন্দি দিয়েছেন।
তার আইনজীবী ফার্দিন্যান্দ টোপাসিও সিএনএন পিলিপিন্সকে বলেছেন, তার মক্কেল শুনানিতে অংশ নেবে।
গত মাসে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে বাংলাদেশের প্রায় এক বিলিয়ন টাকা সরানোর চেষ্টা হয়।
এর মধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) চারটি অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে স্থানীয় মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর ওই টাকার একটি অংশ চলে যায় দুটি ক্যাসিনোতে।
জুয়ার টেবিলে আয় বৈধ করার সুযোগ নিয়ে হাতবদলের মাধ্যমে পাচার হয়ে যায় ওই টাকা।
ফিলিপিন্সের ইনকোয়ারার পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন হলে মার্সের শুরুতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।