খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২০ মার্চ ২০১৬ : চলতি বছর যারা হজ করতে আগ্রহী, ‘ই-হজ সিস্টেমের’ আওতায় তাদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু করেছে সরকার।
রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মতিউর রহমান এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যাবেন তাদের ৩০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে।
প্রাক-নিবন্ধনের পর ব্যাংক থেকে একটি সনদ দেওয়া হবে। মোবাইল ফেনে এসএমএস করে প্রাক-নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
২৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে প্রাক-নিবন্ধন ফি এবং হজে যাওয়ার অর্থ।
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বাকি ৯১ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন।
সরকারিভাবে যেতে চাইলে জেলা প্রশাসক অফিস, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৌর ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে।
আর বেসরাকারিভাবে যেতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হজ এজন্সি থেকে নিবন্ধন করা যাবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিল বলেন, “কেউ প্রাক-নিবন্ধন করার পর হজে যেতে না চাইলে দুই হাজার টাকা ফি বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত নিতে পারবেন।”
রোববার নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন হলেও হজ এজেন্সির সঙ্গে কিছু চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় ২৩ মার্চ পুরোদমে প্রাক-নিবন্ধন শুরু হবে, যা ৩০ মে পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, (১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ), পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর, এমআরপি পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
মন্ত্রিসভা গত ১১ জানুয়ারি যে হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, তাতে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানিসহ প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ হবে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মৌলিক খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে এজেন্টার প্যাকেজ ঠিক করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে হজ হতে পারে।