খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২১ মার্চ ২০১৬ : বৈঠক শেষে তিনি বলেন, এর ফলে বিমান বন্দর দিয়ে রফতানির ক্ষেত্রে আপাতত যে সঙ্কট ছিল সেটা থাকবে না। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর মিশরে রাশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার পর ৩৮টি বিমান বন্দরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বাংলাদেশ এর একটি। এখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে। সোমবার থেকেই তারা কাজ শুরু করবে এবং ৩১ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক কাজ শেষ হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ২৯জন কর্মী এখানে কাজ করবে এবং তারা এখানকার কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের মধ্যে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা আসবেন তারা আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেবেন, বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে এখানকার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেড-কে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য সরকার তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট আপডেট শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলোর পক্ষে যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তা বিষয়ক দপ্তর বিশ্বের ২০টি দেশের ৩৮টি বিমানবন্দরের তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিমান বন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে সচেষ্ট হয়েছে।