খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০১৬ : তুরস্কের দুই বিশিষ্ট সাংবাদিক অরদেম গুল এবং কেন দুনদার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। দেশটির বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিকরা এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, এক প্রতিবেদনে তারা সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তুর্কি সরকার সিরিয়ায় আসাদ-বিরোধীদের জাহাজ বোঝাই করে অস্ত্র পাঠানো চেষ্টা করছিল। দুই সাংবাদিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদ- ভোগ করতে হতে পারে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের দায়ের করা ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে ‘কামহুরিয়েত’ সংবাদপত্রের দুই সাংবাদিক এডিটর-ইন-চিফ কেন দুনদার এবং আঙ্কারা ব্যুরো চিফ অরদেম গুলকে গত বছর নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। তাদের চলতি বছরের ফেব্রুয়িারি মাস পর্যন্ত আটক রাখার পর সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে বিচারকালীন মুক্তি দেওয়া হয়।
কেন দুনদার জানান, তুর্কি সরকার সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে সকল সংবাদকর্মী এবং জনগণকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। যা সেলফ-সেন্সরশিপ আরোপ এবং ভয়ের সাম্রাজ্য কায়েমের এক প্রক্রিয়া নির্মাণ করে।’
সমালোচকদের মতে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সমালোচনার জন্যই সংবাদমাধ্যমের ওপর এই আঘাত আসলো। বৃহস্পতিবার তুরস্কের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক এবং সাহিত্যিক এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক খোলা চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, কেন দুনদার এবং অরদেম গুল শুধুমাত্র তাদের সাংবাদিকতার জন্য যাবজ্জীবন কারাদ- ভোগ করতে যাচ্ছেন।’ তারা আরও বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে ভয় এবং সেন্সরশিপের পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে তুরস্কে ভিন্নমতকে আঘাত করা হচ্ছে।’
রিপোর্টারস উইথাউট বর্ডারস-এর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৫ অনুসারে, ১৮০টি দেশের মধ্যে তুরস্কের অবস্থান ১৪৯ তম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, বর্তমানে ত্রিশ জনেরও বেশি সাংবাদিক জেলখানায় আটক রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই কুর্দি বংশোদ্ভূত। তবে তুর্কি সরকারের মতে, পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন তুরস্কের