খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬ : দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগী জাহান তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে তনুর লাশ তোলা হয়। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহ আবিদ হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম লুৎফুন নাহার, সিআইডির কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান, সিআইডির সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (ফরেনসিক-আলামত শাখা) আবদুস সালাম, তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন প্রমুখ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তনুর লাশ উত্তোলন শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর লাশের সুরতহাল করা হয়। সুরতহাল শেষে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নির্বাহী হাকিম লুৎফুন নাহার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছি। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে একই কবরে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।’
তনুর লাশ কবর থেকে তোলার জন্য গত সোমবার পুলিশ আদালত থেকে অনুমতি পায়। সে অনুযায়ী আজ তাঁর লাশ উত্তোলন করা হলো।
এ প্রসঙ্গে এসপি মো. শাহ আবিদ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। আসামি শনাক্তকরণে যেসব বিষয় প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে লাশ তোলা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, আসামিকে শনাক্ত করার জন্য ছোটখাটো একটা আলামতও যেন বাদ না পড়ে।’
২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর একটি কালভার্টের পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মো. ইয়ার হোসেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ও সেনানিবাস ফাঁড়ির কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। গত শুক্রবার মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়। গতকাল মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।