খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০১৬: মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা ৮০টি মোটরসাইকেল আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮টি মোটরসাইকেল শুল্ক ফাঁকি ও ঘোষণাবহির্ভূত ইঞ্জিন ক্ষমতার (অতিরিক্ত সিসির)। বাকি ৬২টির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও একই চালানে আসা বলে সেগুলোও আটক করা হয়।
মংলা বন্দর কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন অটো এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল আমদানি করে। ৬ ফেব্র“য়ারি বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজের তিনটি কনটেইনারে করে এসব মোটরসাইকেল মংলা বন্দরে আসে। এরপর মার্চে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গাড়িগুলো ছাড়করণের উদ্যোগ নিলে বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ধরা পড়ে। আমদানি ঘোষণাপত্রের সঙ্গে কনটেইনারে আসা গাড়ির সিসির মিল নেই। তখন কনটেইনার তিনটি সিলগালা করে দেয় দায়িত্ব পালনকারী কাস্টমস কর্মকর্তা। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে গত মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর জেটিতে থাকা ওই ৮০টি মোটরসাইকেল আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মংলা কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার (চলতি দায়িত্ব) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমদানিকারক প্রতিটি মোটরসাইকেলের মূল্য দেখিয়েছেন ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। এ হিসাবে ৮০টি মোটরসাইকেলের দাম মাত্র ২২ লাখক্ষ৮০ হাজার টাকা। তবে আমদানি করা গাড়িগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। এ ছাড়া ১৫৫ সিসির ওপরে মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও আমদানিকারক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২৫০ সিসির ১৬টি ও ৬৫০ সিসির দুটি মোটরসাইকেল আমদানি করেছেন। অথচ ঘোষণাপত্রে সেগুলোর সিসি উল্লেখ করা ছিল ১৫০ সিসি। এখন মোটরসাইকেলগুলো আটকের পাশাপাশি আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শাহরিয়ার শিপিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মোশাররফ হোসেন বাহার বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যেসব কাগজপত্র সরবরাহ করেছিল, সে কাগজপত্রের সঙ্গে আমদানি করা মোটরসাইকেলের পার্থক্য থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোটরসাইকেলগুলো আটক করেছে। কী উদ্দেশে মোটরসাইকেলগুলো মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা হয়েছে, তা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানই বলতে পারবে।
এদিকে এ বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন অটো এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।