Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সম্প্রতি তাদের ছবি যেন অন্ধরাও দেখার অনুভূতি পায় সেজন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করছে। এতে ফেসবুকের ছবিগুলোর ওপর স্ক্রল করার সময় অন্ধরাও তা বুঝতে করতে পারবেন। মূলত ভয়েসওভার নামে একটি অ্যাপ ছবিগুলোর বর্ণনা জানিয়ে দেবে, যা ব্যবহার করে অন্ধরাও কোনো ছবির বিষয়বস্তু জানতে পারবেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। মঙ্গলবার ফেসবুক আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য একটি অ্যাপ উন্মোচন করেছে।
এতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহৃত হয়েছে, যার মাধ্যমে মুখ ও বস্তু নির্ণয় করা হবে। ভয়েসওভার নামে এ স্ক্রিন রিডার আইফোন ও আইপ্যাডে ফেসবুকের ছবিগুলোকে অন্ধদের বোধগম্য করতে সহায়তা করবে। ফেসবুক জানিয়েছে, বর্তমানে এ সুবিধা শুধু আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা পেলেও পরবর্তীতে অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া বর্তমানে শুধু ইংরেজি ভাষাতেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে। এর আগ পর্যন্ত ফেসবুকে অন্ধদের জন্য বিস্তারিত পড়ে শোনানোর ব্যবস্থা ছিল্ তবে তাতে কেউ ছবি শেয়ার করলে তার কোনো বর্ণনা পাওয়া যেত না। এবার নতুন ব্যবস্থায় ফেসবুকের এ ছবিগুলোর বর্ণনা পাওয়া যাবে। নতুন ব্যবস্থায় ১০০ পর্যন্ত শব্দে ছবির বর্ণনা করা হবে। এ বর্ণনা শুনে ছবিটির বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারবেন অন্ধরা।
যেমন ‘তিনজন মানুষ ঘরের বাইরে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন। তাদের হাতে পানীয়ের গ্লাস রয়েছে বা একটি পিৎজা রয়েছেৃৃ’ ফেসবুক এ ছবির বর্ণনার বিষয়ে খুবই সতর্ক। এতে যেন ভুল না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে গুগলের এ ধরনের বর্ণনায় কৃষ্ণাঙ্গ যুগলের ছবিকে গরিলা হিসেবে বর্ণনা করেছিল স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছিল গুগলকে। ফেসবুক জানিয়েছে, বিশ্বের ৩০০ মিলিয়ন মানুষ অন্ধ কিংবা আংশিকভাবে দেখতে পান না। তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবিধা নিয়ে আসতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফেসবুক ও ফেসবুকের মালিকানাধীন অন্যান্য মেসেঞ্জার ও অ্যাপে প্রতিদিন গড়ে দুই বিলিয়নের বেশি ছবি পোস্ট করা হয়। ফেসবুকের নতুন এ ব্যবস্থা চালু করা উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জাকারবার্গ একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘ সবার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সমান হারে অংশগ্রহণ ও কথাবার্তায় অংশ নেওয়ার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’