Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৬: বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা বাতিলের আবেদনে সাড়া দেয়নি হাই কোর্ট।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আবেদনটি ‘উপস্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়া গত ৯ মার্চ হাই কোর্টে এই আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি হয়নি দাবি করে আবেদনটি করা হয়েছিল।
“আমরা দেখিয়েছি, ২০০৯ সালে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল। এ অবস্থায় আবেদনকারীপক্ষ বিষয়টি উত্থাপন না করার কথা জানালে হাই কোর্ট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়। মামলার কার্যক্রম যথারীতি চলবে।”
ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আসামিপক্ষের জেরার পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে গেজেট প্রকাশ না করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আরজি জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা।
তার আবেদনে বলা হয়, দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট মাসে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। গেজেট ছাড়া এ নিয়োগ ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ধারা ২০ এর সংশ্লিষ্ট উপধারা পরিপন্থী।
আবেদনটি করার পর খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছিলেন, “জেরায় হারুন অর রশিদ বলেছেন, তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপত্রের কোনো অনুলিপি দেওয়া হয়নি। কোনো প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে কিনা তাও তিনি বলতে পারেননি।”
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট এ মামলা করে দুদক।
তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়।
ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে গত ৩১ মার্চ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন রাখা হলেও খালেদা আদালতে না যাওয়ায় তা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।