Wed. Mar 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত করবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি যোগাবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এক বাণীতে রাজনীতির নামে সন্ত্রাস এবং আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয়তাবোধ ও চেতনাকে শানিত করে। বর্ষবরণের উৎসবে এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। চেতনায় আঘাত করা হয়েছে বার বার। শেখ হাসিনা বলেন, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোন অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বাঙালি জাতি নববর্ষকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উপলক্ষে বাণীতে ‘বাংলা নববর্ষের এই শুভক্ষণে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘চৈত্রের অবসানে নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বৈশাখের আগমনি সুর বেজে উঠে। নববর্ষ মানেই নতুন আশায় উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন। আমাদের লেখক, কবি, শিল্পীদের ছন্দ, বর্ণ, তুলি ও সুরে বাংলা নববর্ষ প্রতি বছর নতুন রূপে হাজির হয়।’
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে দেশের নানাস্থানে শুরু হয় বৈশাখি মেলা ও আড়ংসহ নানা আয়োজন, যা বিনোদনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আনে নতুন গতি। তাই বাংলা নববর্ষ আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির এক বর্ণাঢ্য উৎসব ও অনন্য উৎস বিন্দু। বাঙালির সার্বজনীন উৎসব নববর্ষকে আমরা আবাহন করি প্রাণের স্পন্দনে, গানে-কবিতায়,আবেগের উত্তাপে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আবহমান বাঙালির এ উৎসবে নতুন মাত্রা দিতে আমরা এ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে উৎসব ভাতা প্রবর্তন করেছি। বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, দেশব্যাপী বৈশাখি মেলা, চৈত্রসংক্রান্তির পালা-পার্বণ, নববর্ষের প্রতিটি মিছিল-শোভাযাত্রা মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বৈষম্য এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের হাতিয়ারে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, ‘১৪২৩ সন সকল জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালির জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ বয়ে আনবে।