খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৬: কঙ্গনা রানাওয়াত-হৃতিক রোশন-এর ঝগড়ায় নতুন মোড়। মিডিয়া রিপোর্টে বেরোনো খবর— পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর ল্যাপটপ চাওয়া হয়েছে, এটি খারিজ করে দেন কঙ্গনার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিজওয়ান সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য এবং খবর দিয়ে মিডিয়াকে প্রভাবিত করছে। পুরো ঘটনাকে আইনের আওতায় না এনে এটিকে একটি যুক্তিহীন মিডিয়া ট্রায়াল করে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। রিজওয়ানের আরও দাবি, হৃতিক রোশনের টিম যুক্তি দিয়ে আইনের পথে লড়তে পারছে না বলেই নানারকম ভুল তথ্য দিয়ে পুরো ব্যাপারটিকে ভণ্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁর বক্তব্য, ‘তা ছাড়া, পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব একটি নির্দিষ্ট সামারি রিপোর্টের ভিত্তিতে ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট ফাইল করা।
কোন যুক্তিতে মিডিয়া রিপোর্ট বলছে যে পুলিশ আমার ক্লায়েন্ট কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি বিশেষ ল্যাপটপ চেয়ে পাঠিয়েছে? কারণ, এরকম কোনও নোটিশ আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। সাইবার ক্রাইম শাখার তরফে একটি সাধারণ নোটিশ এসেছিল কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ফোন চেয়ে পাঠিয়ে। পরে সাইবার ক্রাইম বিভাগ সেই নোটিশও ফিরিয়ে নেয়। এরপর সিআরপিসি-র সেকশন ১৬০ অনুযায়ী তারা একটা রিক্যোয়েস্ট লেটার পাঠায়। ‘
অ্যাডভোকেট সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘আমার ক্লায়েন্টকে এফআইআর-এ দোষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। উনি কিন্তু একবারও পুলিশের কাছে ওঁর স্টেটমেন্ট না দেওয়ার কথা বলেননি। তবে তার আগে আইন মেনেই উনি পুলিশের সামনে হৃতিকের করা এফআইআর-এর বিষয়বস্তু জানতে চান, যেখানে কঙ্গনার বোনের নাম করা হয়েছে। এফআইআর-এ ওঁর বোনের নামের কারণ কঙ্গনা বিশদভাবে জানতে চান।