Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20 খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৬: শাহিনুর রহমান শাহিন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা’র পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতা ও পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে তুলে বুধবার ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালিত হয়।
গত সোমবার বিশ্ববিধ্যলয়ের প্রান্তিক গেটে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে পুলিশ তাদের ১২ নেতাকর্মীকে আটক এবং পুলিশের হামলায় প্রায় ১৮ নেতাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।
ধর্মঘট চলাকালে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নেতাকর্মীরা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রধান ফটক আটকে রেখে বিক্ষোভ করে। পরে সাড়ে ১০ টার দিকে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদে এসে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ-সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, তনুসহ সকল খুন-ধর্ষণ-গুমের বিচার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রারাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকে সোমবারের অর্ধদিবস হরতালে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ছাত্র জোট ও ছাত্র ঐক্যের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতাদেরসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
তিনি দাবি করেন, আটক ও হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলা চালানোর সময় প্রক্টর সেখান থেকে সরে যান এবং সেই সময় প্রান্তিক গেইটের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘটনার কয়েক মিনিট আগে তার ঘটনাস্থল ত্যাগ করার ঘটনাটি প্রক্টরের নির্দেশনাকে আরও স্পষ্টভাবে প্রমাণিত করে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দ্বীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল, সাধারণ সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ, ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জুবায়ের টিপু, সাধারণ সম্পাদক শেখ রাহাত সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে তাদের রাস্তা ছেড়ে ক্যাম্পাসে আসার জন্য বলি। পুলিশের হামলায় মদদের বিষয়ে তিনি বলেন,‘ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ক্যাম্পাসের বাইরে। রাষ্ট্রই এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্ববিদ্যালয় একালার বাইরে থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে এরকম হলে প্রশাসন এর জন্য দায়ী নয়। গেট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন,‘কিছুদিন ধরে বহিরাগতদের গাড়ি ও অবৈধ অটোরিক্সা ক্যাম্পাসে প্রচুর পরিমানে ঢুকছিলো। তাই গেট চাপিয়ে দেওয়া ছিলো, বন্ধ নয়’।