খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬: শুটিং, ছবির প্রচার, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্য দিয়ে বেশ কর্মব্যস্ত দিন কাটে বলিউড সুপারস্টারদের। সারা দিন নানা ধকলের পর অনেকেরই আর বাড়তি কোনো দিকে নজর দেওয়ার সময় থাকে না। তাই তাঁদের অনেকটাই সীমাবদ্ধ থাকতে হয় ফিল্মি জীবনের গণ্ডির মধ্যেই।
তবে এ ধরনের জীবনযাপনকে সুস্থ বলে মানতে নারাজ জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা নাসিরউদ্দীন শাহ। রাখঢাক না রেখেই নাসিরউদ্দীন বলেন, ‘এমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত তারকারা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এমন বক্তব্য প্রচারের পর নড়েচড়ে বসেছে বিটাউনের তারকারা।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে প্রবীণ এই তারকা আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, অভিনেতাদের ছবিতে কাজ করার বাইরেও অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহ থাকা উচিত। এটা ঘোড়া চালনা, পাহাড়ে চড়া—যেকোনো কিছু হতে পারে। এগুলো ছাড়া একজন অভিনেতার জীবন একেবারেই সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। খ্যাতিমান এসব অভিনেতার সঙ্গে আপনি দুই সেকেন্ডও কথা বলতে পারবেন না, যদি আলোচনা তাঁদের নিয়ে না হয়।’
বলিউডের পোড়-খাওয়া এই অভিনেতা আরো বলেন, ‘আপনি যদি তাঁদের প্রশংসা করেন, তাঁরা সারা রাত ধরে হলেও শুনতে প্রস্তুত। তবে তাঁদের মনের বিরুদ্ধে কোনো কথা গেলেই আপনাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হবে। এটা আসলেই একটা লজ্জার বিষয় যে আমাদের অনেক বড় বড় তারকাই মানসিক বিকারগ্রস্ত।’
ব্যক্তিগত জীবনে নিজ মতাদর্শের সঙ্গে খাপ খায় এমন মানুষের সঙ্গেই মেশেন নাসিরউদ্দীন। তাই হয়তো তাঁর বন্ধুর তালিকাটা একটু ছোটই। বন্ধু বলতে তিনি ড্যানি ডেজংপা, তিনু আনন্দ ও জ্যাকি শ্রফের কথাই বললেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নাকি বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ আছে তাঁদের।
চার যুগ ধরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ৬৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। দীর্ঘ এই তারকা জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন ‘নিশান্ত’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’, ‘মাসুম’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মির্জা গালিব’, ‘সারফারোশ’-এর মতো সাড়াজাগানো ছবিগুলোতে।