Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

39খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬: মডেল সাবিরা হোসেনকে নারায়ণগঞ্জে নানার বাড়ির গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানিয়েছেন সাবিরার মামা মর্তুজা কাদির। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সাবিরার দাফন সম্পন্ন হয়। সাবিরার মামা মো. মর্তুজা কাদির জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনিসহ পরিবারের নিকট আত্মীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাবিরার লাশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর দুপুর ১টার সময় তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ গ্রামে পৌঁছান। সাবিরার বাবা দুবাই থেকে এসে পৌঁছানোর পর তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে- মা বাবার কাছ থেকে আলাদা থাকা এই মডেল সোমবার শেষ রাতের কোনো একসময় আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেন ও একটি ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, সাবিরা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। এ সময় তিনি তার প্রেমিক নির্ঝর সিনহা রওনকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের একটি বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রাখা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সাবিরার মা, মামা ও পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ দেখতে যান। সাবিরা হোসেনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা ছিল।
সাবিরার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, নির্ঝর সিনহা রওনক নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে এই মডেলের প্রেম ছিল। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের ব্যাপারে অসম্মতি ছিল নির্ঝরের পরিবারের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করেন সাবিরা।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে নির্ঝরকে ট্যাগ করে সাবিরা হোসেন লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য সে (নির্ঝর) দায়ী। যদি আমি মারা যাই, তাহলে এর দায় তার।’
সাবিরা আত্মহত্যা করার পর তার ছেলে বন্ধু নির্ঝরকে মঙ্গলবার পুলিশ আটক করে।
সাবিরা বেশ কিছু পণ্যের স্থিরচিত্রে মডেল হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের মডেল ছিলেন। মডেলিং ছাড়াও মোহনা টিভি ও গানবাংলা টিভিতে উপস্থাপনা করতেন সাবির।