খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ কি.মি পাকা রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে মেরামতের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা-চোড়া, খানাখন্দকে পরিপূর্ণ এ সকল রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষ নজর না দেয়ায় অহরহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারী জনসাধারণ ও যানবাহন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলা সদরের কলেজ মোড় থেকে বালারহাট বাজার পর্যন্ত ৬কি.মি, ব্র্যাক মোড় হতে কুলাঘাট পর্যন্ত ৩কি.মি, আবেদীয়া মাদরাসা মোড় থেকে খড়িবাড়ী আশা অফিস পর্যন্ত ৫কি.মি, খড়িবাড়ী বাজার হতে নজরমামুদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩কি.মি, বালারহাট বাজার হতে গজেরকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৪কি.মি ও গোরকমন্ডপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৪কি.মি,শিমুলবাড়ী জকুরটল হতে বোর্ডের হাট ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ১কি.মি, শহিদ বাজার থেকে মিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২কি.মি, কাশিপুর কলেজ মোড় হতে বেড়াকুটি বাজার পর্যন্ত ৭কি.মিসহ গোটা উপজেলায় মোট প্রায় ৩৫কি.মি. রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সকল রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারনে উপরের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। তাছাড়া বড় বড় গর্তের জন্য যানবাহন স¦াভাবিক গতিতে চলতে না পারায় অফিস আদালতে কর্মরত কর্মচারী কর্মকর্তা , স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ জনসাধারনের সঠিক সময়ে গন্তেব্যে পৌছাতে সমস্যা হচ্ছে।
চন্দ্রখানা গ্রামের অটোরিক্সা চালক রফিকুল মিয়া, রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক হারুন অর রশিদ, সাবেক ইউপি সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল সহ স্থানীয়রা জানান, মেরামত না করার কারনে এসকল রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। তারা শীঘ্রই রাস্তাগুলো মেরামতের দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান জানান, ফুলবাড়ী -খড়িবাড়ী রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায়। ওটা ওনারাই মেরামত করবেন। এলজিইডির আওতাধীন রাস্তা মেরামতের জন্য গত অর্থ বছরেই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দ আসেনি তাই আগামী অর্থ বছর ছাড়া আর মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।