Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ জুন ২০১৬: ধর্ষিতা হিন্দু বলে কিংবা ধর্ষক যুবলীগ বলে যারা প্রতিবাদ করছেন না তারা ধর্ষকের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। রবিবার (১২ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশটা আপনাদের মতো (যারা প্রতিবাদ করছেন না) মেরুদণ্ডহীনদের কারণেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১১ জুন) রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মা ও মেয়ে ট্রলারে গণধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইমরান এইচ সরকার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
ফেসবুকে মন্তব্য হিসেবে ইমরান এইচ সরকার লিখেন, ‘সাড়াশি অভিযানের মৌসুমে কিছু না বলাই ভালো। বরং খুঁজে দেখা যেতে পারা তারা বিএনপি-জামায়াত ছিল কি না! তাদের পোকা-মাকড়ে কামড় দিয়েছিল কি না! অথবা এই ষড়যন্ত্রে মোসাদের যোগসূত্র আছে কি না!!’
তিনি আরও লিখেন, ‘আর সবাই মিলে আসুন মগের মুল্লুকের রাজাদের সাবাস! সাবাস!! বলে বাহবা দিতে থাকি! সাবাস!!!’
জানা গেছে, গণধর্ষণের ঘটনায় বাউফল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নূর আলম নামে একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। নূর আলমকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী জানান, ঘটনার শিকার মা ও মেয়ে শনিবার নিজেদের বাড়ি থেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে সোহেল নামের এক যুবক মোটরসাইকেলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় এবং চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর কালাইয়া ইউনিয়নের নিমতিঘাট থেকে ট্রলারে উঠিয়ে কেশবপুরে ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া চরে নেয়ার সময় সোহেলসহ আরও পাচঁজন মিলে ওই মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে। আশপাশে মানুষজনের সাড়া পেয়ে মেয়েটি চিৎকার করে উঠলে ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় নুর আলম নামের একজনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা।