Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kআহমদ রফিক ।। খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০১৬: অবশেষে পালে বাঘ পড়ল, বাঘ নয়, হয়তো বা নেকড়ে। শোনা যায়, নেকড়ে নাকি বাঘের চেয়েও হিংস্র। হিংস্র না হলে কি রাতের খাবার খেতে আসা নিরপরাধ দেশি-বিদেশি মানুষগুলোকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা যায়, বিশেষ করে যাদের সঙ্গে চেনাজানা নেই, কোনো শত্রুতা নেই। গুলশান লেকের মনোরম পরিবেশ বারুদে-ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে লেকের স্নিগ্ধ জলে রক্তের আবহ সৃষ্টি করে নৃশংস বর্বরতার প্রকাশ ঘটাল পাঁচজন জঙ্গি দুর্বৃত্ত, তা-ও আবার ধর্মের নামে স্লোগান দিয়ে। শুধু তা-ই নয়, পবিত্র ঈদের বৃহত্তম জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের ওরা হত্যা করতে গিয়েছিল। পথে পুলিশ বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপরই গুলিবর্ষণ করে ওরা। মারা যায় দুই পুলিশ সদস্য।

গত ১ জুলাই সন্ধ্যা রাতে গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় আকস্মিক সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে সেখানে আগত ২০ জন দেশি-বিদেশিকে হত্যা করা হয়। ঘটনা ছিল আকস্মিক ও অভাবিত। মুসলমান-অমুসলমান নির্বিশেষে মানুষ হত্যার প্রত্যক্ষ কোনো কারণ ছিল না। ছিল পরোক্ষ কারণ। এতে ছিল না ‘টার্গেট কিলিং’য়ের চরিত্র। ছিল ভয়ভীতি, আতঙ্ক ও ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্য। লক্ষ্য বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্র, বিশেষ করে মানুষ। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রটিকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক সিদ্ধি অর্জনের চিন্তা। মনে হয় এটা সবে শুরু।
এত সহজে বর্বরতার প্রকাশ ঘটানো হলো যে সবার কাছে তা বিস্ময়কর মনে হয়েছে। পুলিশের কাছেও তাই। ঘটনার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা ছিল না, ছিল না আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য। তাই যথাযথ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে না পারা ও জঙ্গিদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুই পুলিশ সদস্যের শোকাবহ মৃত্যু ঘটে। সন্ধ্যা রাতের আক্রমণের ঘটনা পুলিশ বেষ্টনীতে পরদিন ভোর অবধি গড়ায়। দরকার পড়ে কমান্ডো অভিযানের।
এরই মধ্যে অনেক নৃশংসতা আর রক্তস্রোতে রেস্তোরাঁর মেঝে লাল। জিম্মি শব্দটি এ ক্ষেত্রে মনে হয় সঠিক নয়, কারণ তাদের কোনো দাবি ছিল না, লক্ষ্য ছিল হত্যা ও বিভীষিকা সৃষ্টি। পণমুক্তির কোনো বিষয় এখানে সংশ্লিষ্ট নয়। তবে ঘটনার আকস্মিকতা ও বিস্ময় ছিল প্রধান। জঙ্গি দমনে আত্মতৃপ্তির কারণে চড়া মূল্য দিতে হলো বাংলাদেশকে। সেই তো কমান্ডো নামিয়ে নাটকের যবনিকা টানা হলো পাঁচ জঙ্গির হত্যায়, কিন্তু শুরুতে এ ব্যবস্থা নিলে হয়তো আরো কিছু প্রাণ বাঁচানো যেত। তাই ‘সফল অভিযান’ সত্ত্বেও ফলাফলে নেতির প্রভাব বড় হয়ে থাকল। মহিলারাও রক্ষা পেলেন না বর্বর ঘাতকদের হাত থেকে।
ঘটনা ও তার প্রতিক্রিয়াদৃষ্টে তাই সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতার অভিযোগও আনা হয়েছে কোনো কোনো সংবাদপত্রে। বলা হয়েছে, ‘পুলিশের প্রস্তুতিহীনতা’ ও ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা’র কথা। এ বর্বর হামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। যেমন—পূর্ণ প্রস্তুতি না নিয়ে পুলিশের অকুস্থলে গমনের কারণে জঙ্গিদের আক্রমণে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু, আহত অনেকে। তা ছাড়া প্রশ্ন উঠেছে, গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে সন্ত্রাসীরা কিভাবে গ্রেনেডসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে পারল? স্বভাবতই ‘প্রশ্নবিদ্ধ কূটনৈতিক পাড়ার নিরাপত্তা’।
পাঠকদের মনে থাকতে পারে, এই কূটনৈতিক এলাকাতেই হত্যা করা হয়েছিল ইতালীয় নাগরিক সিজারে তাভেল্লাকে। এমনকি ছিনতাইকারীদের হাতে সৌদি নাগরিক হত্যার ঘটনা। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কেন আর চেকপোস্ট ও চেকিং? সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা এ হামলায় ব্যবহূত যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক পদার্থ, গ্রেনেড ইত্যাদি। তাই যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, ‘নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় রকমের গলদ আছে’, যেমন লিখেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন।
এমনকি প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জ্যাসন বার্ক এই বলে, ‘বাংলাদেশ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার সাধ্য রাখে?’ প্রশ্নটির জবাব তাঁর লেখা নিবন্ধে নেই। এ প্রসঙ্গে আমরা মনে করি, অবশ্যই পারে। উদাহরণ হিসেবে একদা জেএমবির ব্যাপক বোমা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির প্রধান ও আরো কয়েকজনের বিচার ও শাস্তির ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই ঘটনার পর জেএমবি বেশ কিছুকাল নিষ্ক্রিয় ছিল।
আর আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্যমাফিক আমরাও আত্মতৃপ্তিতে ভুগছিলাম এই ভেবে যে ‘যাক, জঙ্গিদের খতম করা গেল!’ এই আত্মতৃপ্তি বিচক্ষণতার পরিচায়ক ছিল না। কারণ জঙ্গিবাদ আসলেই রূপকথার রক্তবীজের মতো, এক ফোঁটা রক্ত থেকে নতুন অনেক জন্ম নেয়। ওই ঘটনার পর একাধিক জঙ্গি সংগঠন জন্ম নিয়েছে, সমাজে বংশবিস্তার করেছে নিঃশব্দে।
তারপর একসময় পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয়ের পর নতুন করে হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে নানা নামে। একপর্যায়ে এসে নাস্তিক অপবাদ দিয়ে মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যা শুরু করেছে এবং তা এমনই পরিকল্পিত চাতুর্যে যে একটি ছাড়া বাকি হত্যাকাণ্ডগুলোর হোতাদের শনাক্ত করা যায়নি, বিচার ও শাস্তি তো দূরের কথা। চৌকস গোয়েন্দা ও অপরাধ দমন বাহিনীর এ ব্যর্থতা কি বিশ্বাসযোগ্য?
স্বভাবতই সাহস বেড়ে যায় অপরাধীদের। তাদের সাংগঠনিক বিস্তার বেসরকারি শিক্ষায়তনের তরুণদের কাছে পৌঁছে গেছে, যা সমাজ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক দুঃসংবাদ। এরপর শুরু হলো ‘টার্গেট কিলিং’ হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশেষ বিশেষ সদস্যকে। এসব হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশের কোনো ফয়সালা হয়নি। কারা এসব ঘটাচ্ছে তা নিয়ে অনর্থক চলেছে অদূরদর্শী বিতর্ক। বিতর্কে সময়ক্ষেপণ ঘটেছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ-জাতীয় হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। স্বভাবতই তারা নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে ভুগছে। এর প্রতিক্রিয়া শাসক পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে।
দুই.
বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিভিন্ন স্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের আইনি বিচারে ব্যর্থতা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কিছুটা হলেও দায়ী। এর আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ঘাতক ও নেপথ্য নায়কদের পরিচিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এরা কারা? কী তাদের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক পরিচয়? আনসারুল্লাহ বি-টিম ছাড়াও একাধিক হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে প্রাচ্যভিত্তিক নৃশংস সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)।
দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে এ বিষয় নিয়ে চলেছে পক্ষ-প্রতিপক্ষের ভাষিক লড়াই—‘আইএস আছে, আইএস নেই।’ এই অদূরদর্শী বিতর্ক প্রকৃতপক্ষে জঙ্গি দমন অভিযান ব্যাহত করেছে। আইএসের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে গিয়ে দুর্বোধ্য কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও অভিযানে শৈথিল্য এসেছে। অথচ আইএস তাদের বৈশ্বিক প্রচারে বারবার বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেছে। নানা ঘটনায় এমন ইঙ্গিত উঠে এসেছে যে আইএস বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের সংগঠনিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়, যেমন চায় আল-কায়েদা। তবে এ ক্ষেত্রে আইএসের আগ্রহ একটু বেশিই বলতে হবে।
কারণ স্পষ্ট। একে তো দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। দ্বিতীয়ত এবং প্রধানত বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলমান অধিবাসীর দেশ। স্বভাবত এখানে সমর্থন পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা। এখানে ঘাঁটি গাড়তে পারলে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ ও হামলা সহজ হবে। ওই দুটি রাষ্ট্রই মূলত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর দেশ।
যতই বলি বাংলাদেশে আইএস নেই (হয়তো নেই) কিন্তু তাদের আদর্শভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী-সমর্থকের কি অভাব আছে?, সে প্রসঙ্গে সাংবাদিক জ্যাসন বার্ক বলতে চাচ্ছেন যে আইএস বাংলাদেশে তার সাংগঠনিক অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। তিনি আল-কায়েদার ভিডিওবার্তা থেকে যে ঘোষণাটি উল্লেখ করেছেন. তা বাংলাদেশের পক্ষে মারাত্মক।
সে বার্তায় বলা হয়েছে যে “দেশটির মুসলমানদের উচিত ‘ধর্মত্যাগী’ শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা।” কিন্তু আফগানিস্তান যুদ্ধফেরত যোদ্ধাদের স্লোগান সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ওই পথ ধরে হাঁটেনি। হয়তো তাই শাসকশ্রেণির অস্তিত্ব রক্ষায় আস্থা প্রবল। কিন্তু আইএস বড় ভয়ংকর সংগঠন। আল-কায়েদা পারেনি বলে আইএস কিছু করতে পারবে না—এমন যুক্তির নিশ্চয়তা কোথায়? ধর্মের নামে মানুষ যে অনেক কিছুই করতে পারে, উপমহাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলি তার প্রমাণ।
তিন.
প্রধানমন্ত্রী তাদের ধর্মনিষ্ঠা সম্পর্কে যাই বলুন না কেন ইসলামী জঙ্গিবাদের রাজনৈতিক সমীকরণটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে উদারনৈতিক ইসলামের কোনো জায়গা নেই। কাজেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ইসলামী গোষ্ঠী মাত্রেরই চক্ষুশূল, এমনকি দেশের জনগোষ্ঠীর একাংশও। সে একাংশ সংখ্যাগুরু কি না গণভোট বা জরিপই তা সঠিকভাবে বলতে পারবে।
এ পর্যন্ত যাই হোক পূর্বোক্ত বিতর্ক এক ধারায় চলছিল, কিন্তু গুলশানের নিরিবিলি রেস্তোরাঁয় রক্তাক্ত হামলা ভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সংঘটিত হামলা বা হত্যাকাণ্ডের তুলনায় এই হামলার পরিকল্পনা, চরিত্র, ধরন-ধারণ একেবারে ভিন্ন। একে প্যারিস হামলা, ব্রাসেলস হামলার ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা চলে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কার কথা মনে রেখে এরপর অনুরূপ হামলা যে বাংলাদেশের কোথাও ঘটবে না, তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। আর বর্তমান হামলাটির সঙ্গে আইএসের স্থানীয় সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা নেই, এমন কথাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
যাচ্ছে না শুধু এ হামলার দায় আইএস কর্তৃক স্বীকার ও প্রচারের কারণেই নয়। কারণ একাধিক। যেমন—আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এ হামলা যা এর আগে বাংলাদেশে ঘটেনি, তেমনি সত্য হামলাকারীদের তাৎক্ষণিক তৎপরতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র মোকাবিলার দক্ষতা। ওরা মরতেই এসেছিল, যে কয়জন মরেছে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে, সম্ভবত সে ভয়ংকর কাজ তারা প্রাথমিক পর্বেই শেষ করেছে। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো আইএস গুলশান হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে লাগাতার তথ্য পাচ্ছিল ইন্টারনেটে প্রচারের জন্য। আমাদের বিশেষজ্ঞরা এ তৎপরতা বন্ধ করতে পারেননি।
কাজেই সব কিছু মিলিয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভয়াবহ গুলশান হামলা আমাদের বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য এক অশনিসংকেত। আইএস নিয়ে অনর্থক বিতর্কে সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশের এখন উচিত অবিলম্বে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক, সুপরিকল্পিত লাগাতার দক্ষ অভিযান পরিচালনা করা। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যে সংকল্প ব্যক্ত করেছেন তা যথাযথভাবে পালনের জন্য প্রয়োজন হলো দক্ষ ও অভিজ্ঞ সদস্যদের নিয়ে বহুকৌণিক অভিযান পরিচালনা। সবচেয়ে বড় দরকার স্থানীয় পরিকল্পনাকারী ও নেপথ্য নায়কদের শনাক্ত করা এবং তাদের আইনের আওতায় আনা।
সত্যি বলতে কি, এ হামলা তার চরিত্র বিচারে জাতীয় সংকটের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে এর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায়। লন্ডনের টেলিগ্রাফ পত্রিকা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে লিখেছে যে ওরা আবার যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে পারে। এমন মতামত আরো অনেকের। ওয়াশিংটন পোস্ট মনে করে যে জঙ্গিবাদ উচ্ছেদকে অগ্রাধিকার না দিলে জঙ্গিদের ক্ষমতা বাড়বে, হামলাও বাড়বে, সরকারের জন্য তা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তাই সরকারের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যদিকে অন্যান্য গণতন্ত্রী রাজনৈতিক সংগঠনেরও এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে জনগণের সচেতনতা ও বিরোধিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমনটা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সত্যি বলতে কি, জনগণই জঙ্গিবাদের সামাজিক বিস্তার রোধ করতে পারে।
লেখক : কবি, গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী