খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘সমস্ত বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও দস্যুমুক্ত করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা কোনো জায়গায় সন্ত্রাস ও দস্যুতা করতে দেব না। এ জন্য পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দস্যুদের আশ্রয়দাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে মোংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে বনদুস্য ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর ১১ সদস্যের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দস্যুরা আজ ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২০টি গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে যারা দস্যুতা করত, তারা তাদের কৃতকর্মের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিজ্ঞা করেছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে কাজকর্ম করতে পারে। আর যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের প্রতি তিনি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ। এ অঞ্চলে বনদস্যু নিপাত করতে সরকার কাজ করছে।
অসংখ্য বাহিনীপ্রধান র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০০ অস্ত্র। প্রায় ২০০ দস্যুকে আটক করা হয়েছে। মাস্টার বাহিনীর দেখাদেখি মজনু ও ইলিয়াস বাহিনী আজ আত্মসমর্পণ করেছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য সহায়তা করা হবে।
এদিকে আত্মসমর্পণকারী দস্যু মজনু ও ইলিয়াস বলেন, ভুল বুঝতে পেরে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা ও বাগেরহাট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।