খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০১৬: কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে সিভিল সার্জনের গাড়ি চালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরির মামলার রায়ে আদালত ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের গাড়ি ও হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল জলিলকে ২ বছরের সাজা দেওয়ায় তাকে চাকুরী থেকে সাময়ীক বরখাস্থ করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতগাঁ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শহিদুল রহমানের বাড়ি থেকে জংশন ১২৫সিসি ও কক্স ১০০সিসি দুইটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ চুরির অভিযোগ তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল চুরির প্রত্যক্ষ এক স্বাক্ষী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আদালতে চোরদের সনাক্ত করে জানান, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল রাত ৩ টার ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রের উত্তর পূর্বপাশের্^ দু’টি মোটর সাইকেল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের ভিতর তুলে নিয়ে যেতে দেখেছেন চালক আব্দুল জলিলসহ ৫/৬জন ব্যক্তিকে। পরবর্তীতে আরও স্বাক্ষী সবুদে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৪ সালের ২১ আগষ্ট ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) জুলফিকার আলী খান মোটর সাইকেল চুরি মামলার অভিযুক্ত আসামী এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল ও তার সহচর ইউসুফকে দু’টি ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এ আদেশের বিরুদ্ধে ও পূণবিচারের আবেদন জানিয়ে জেলা জজ আদালতে আপীল করা হয়। সেখানে মামলা পূণ বিচার বিশ্লেসনের পর গত ২ জুন অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. হায়দার আলী নি¤œ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন এবং আসামীদের জামিন বাতিল করেন। এ রায়ের পর আসামীদ্বয় নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবির জানান, আদালতের আদেশের পর গাড়ি ও হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল জলিলকে চাকুরী থেকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।