খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০১৬: : ৭১ এর নর পিশাচের প্রেতাত্মা মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী মুন্সিগঞ্জের জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানের সমকামিতা ও নারী লোভ সিনেমার ঘটনাকেও হারমানিয়েছে। জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানরে পর্ণতৈরীর ব্যবসা, সমকামিতা ও মাদ্রাসায় ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করলেও কোন খুটির বলে এখনো মাদ্রাসায় তিনি অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে রয়েছেন? সেটাই এখন মুন্সিগঞ্জ নাগারিক সমাজের প্রশ্ন? জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষের সাথে আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পলিশ প্রশাসন।
তার কি এমন শক্ত খুটি রয়েছে যার বিনিময় অদ্য পর্যন্ত প্রশাসনের কোন লোক তাকে প্রশ্ন পর্যন্ত করতে পারলো না যে এই পর্ণ কিভাবে তৈরী করলো এবং কোথায় কোথায় এগুলো বিক্রি করেছে সে? বরং পর্ণগ্রাফী তৈরীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যারা করেছে তাদেরকে একের পর এক হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে কমিটি ও অধ্যক্ষ। কমিটির সদস্যবৃন্দ হলো আবু জর গিফারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সাবেক জামায়াতের জেলা আমির এ.বি.এম ফজলুল করিম, সদস্য সচিব মাদ্রাসার সুপার জামায়াত সদর সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জামায়াত নেতা কমিটির সদস্য নুরুল হক পাটোয়ারী, অভিভাবক সদস্য সাহার বানু, মোনায়েম খান শিক্ষক প্রতিনিধি, সাহাব উদ্দিন শিক্ষক প্রতিনিধি। এদের মধ্যে এ.বি.এম ফজলুর করিম ও নুরুল হক মাদবর এবং নুরুল হক পাটোয়ারা তিনজনে মিলে ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকদের সাথে গোল্লাছুট খেলা খেলছেন এমনটিই মনে করছেন অভিভাবক মহল।
স্থানীয় অনেক লোক জানিয়েছেন ২০/২৫টি অনলাইন ও ৭-৮টি জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পরও প্রশাসন কেন তার বিরুদ্ধে একশনে যাচ্ছে না? তা হলে কি বুঝে নিব মাহ্বুব সাব মাদ্রাসা থেকে প্রশাসনের কাছে পর্ণ তৈরী করে সাপ্লাই দেয়?
অভিভাকদের একাংশ সুপার মাহবুবুর রহমানের অপসারণ চেয়ে দরখাস্ত প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবর। বিষয়টি দীর্ঘদিন হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিধায় ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে এমনকি বলে বেড়াচ্ছেন তার কিছুই করতে পারবে না প্রশাসন। মাদ্রাসার হোস্টেলের একজন বৃদ্ধলোক জানান, তার লোমও ছিড়তে পারবে না প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা এমন জানিয়েছে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে মিথ্যা কথা শিখাচ্ছেন। সে কুরআন হাদিস দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছেন যে মিথ্যা অপবাদ দেয়া গুনাহের কাজ এবং ভিডিওটি কেউ দেখে না থাকলে দেখতে নিষেধ করেছেন। এটি ষড়যন্ত্র করে কেউ তৈরী করে দেখাচ্ছে। এ সকল ভূমিকার ফলে কোমলমতি সকল শিক্ষার্থী ভিডিওটি ইন্টারনেটে দেখার জন্য উদ্ধুদ্ধ হবেন এমনটি আশংকা করছেন একাধিক গার্ডিয়ান।
মুন্সিগঞ্জ আদর্শ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় নতুন পরিমলের আইনী কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। নতুন পরিমল অধ্যক্ষের ভাগিনা সাকিব কামাল ও তার মামা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগণ ও এলাকাবাসী। মাদ্রাসাটির কমিটি জামায়াত নিয়ন্ত্রীত হওয়ার পরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মুন্সিগঞ্জবাসী।
পর্ণতৈরী ও জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানের দুর্নীতি ও সমকামিতার নিউজ জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছেন। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় হতাশ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে কিভাবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা এখনো মাদ্রাসায় শিক্ষক ও ছাত্রদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন?
আদর্শ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল হক মাদবর বলেন, আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই অভিযুক্ত শিক্ষকরা পালিয়ে যায়। এ মাদ্রাসা চালুর পর থেকে এমন নানা ঘটনা ঘটে আসতেছে। এ প্রিন্সিপাল ও দু’জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো একবার এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। যারা এসব অপকর্ম করেছে বা করতে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে সুলে চড়িয়ে শাস্তি দেওয়া উচিত। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিলে মাদ্রাসাটি কলঙ্ক মুক্ত হবে।
অথচ এই নুরুল হক মাদবর এখন মাহবুবকে মাদ্রাসায় বহাল তবিয়তে রাখার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রতিবাদী শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের হুমকি প্রদান করে যাচেছন বলেন একাধিক সূত্রে পাওয়া গেছে।
মুন্সিগঞ্জ আদর্শ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বিয়ে করার পূর্বে মাদ্রাসার দপ্তরী (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) রফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রফিক বিষয়টি মাদ্রাসার বিজ্ঞান শিক্ষক আহসান হাবীবের কাছে ভিডিও সাক্ষাতকার দিয়ে নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে বিষয়টির ভিডিও ক্লিপ তৎকালিন কমিটির সভাপতি জামায়াতের জেলা আমির এ.বি.এম ফজলুল করিম, নুরুল হক মাদবর, সাহারবানুসহ সকলকে দেখানো ও জানানোর পর তারা এটাকে ধামাচাপা দিয়ে উল্টো বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আহসান হাবীবকে চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে বলে সূত্র জানায়। জানা গেছে, এই ঘটনা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রফিক প্রকাশ করার কারণে তার ৯দিনের বেতন কর্তন করে বিল করে সমকামি ও নারী লোভী অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও তার চাকুরীর বয়স বেশী যাচাই বাছাই করলে চাকুরী থাকবে না বলেও হুমকি দেয় বলে জানা গেছে।
জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এই কমিটি ও মাদ্রাসার সুপার জামায়াতের নেতা হওয়ায় প্রশাসন ভয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না এমনটিই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শিক্ষা ও আইসিটি মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, ভিডিও ক্লিপ ও অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকার কভারেজ পেয়ে সেগুলো দিয়ে একটি রিপোর্ট করে এসপি অফিসে দেয়া হয়েছে। এস.পি অফিস সে বিষয়ে কি করেছে আমাদের কোন নলেজে নেই।
এ বিষয় জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বিপ্লব তালুকদার জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নাই জেনে বিষয়টি সম্পর্কে জানাবো।