খোলা বাজার২৪ শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬: চিকিৎসায় ব্যয় মেটাতে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। তারা চিকিৎসার ৬৫ শতাংশ নিজেদের পকেট থেকে ব্যয় করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ) নিশ্চিত করতে হলে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে হবে।
বণানীর পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দি ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ, হাউ টু মোভ ফরোয়ার্ড ইন বাংলাদেশ?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৩১-৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী ও অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১ থেকে ৩৫ জন ডাক্তারের পোস্টিং থাকলেও এদের মধ্যে নিয়মিত ৩ থেকে ৫ জন ডাক্তার সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকেন। অবশিষ্ট ডাক্তারেরা নিয়মিত কর্মস্থলে আসেন না। এর বাইরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা। এদের খুব সংখ্যককে কর্মস্থলে পাওয়া যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।
দি ঢাকা ফোরামের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুবসহ প্রমুখ।