Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০১৬: শরীর পরিষ্কার রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন। শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখলে নানা রকম সংক্রামক রোগ ও চর্মরোগ হতে পারে। শুধু পানি দিয়ে ধুলেই ত্বক পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের ময়লা, ধুলা ও তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। কিন্তু সাবান বিভিন্ন রকম রয়েছে। আর এমন সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, যা ত্বককে শুষ্ক করবে না এবং ধোয়ার পর ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা বজায় রাখবে।

বিভিন্ন ধরনের সাবান
১. সাধারণ সাবান বা সৌন্দর্যের সাবান
সব সময় আমরা যে সাবান ব্যবহার করি, তা-ই সাধারণ সাবান। অনেক সময় একে ‘বিউটি বার’ বলা হয়। এ ধরনের সাবান ক্ষারীয় প্রকৃতির। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য এ ধরনের সাবান উপযুক্ত। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
২. ময়েশ্চারাইজিং সাবান
এ ধরনের সাবান ত্বককে আর্দ্র করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য, বিশেষ করে এ ধরনের সাবান প্রয়োজন। এ ধরনের সাবানে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন : ক্রিম, কোকো বাটার, নিউট্রাল ফ্যাট, ল্যানোলিন ইত্যাদি থাকে। সাবানের ক্ষারীয় ভাবের জন্য ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়। তাই ময়েশ্চারাইজিং সাবানে ক্ষার কম থাকে এবং নিউট্রাল হয় এ ধরনের সাবানগুলো।
৩. স্বচ্ছ সাবান
গ্লিসারিনযুক্ত সাবানগুলো স্বচ্ছ হয়। সংবেদনশীল তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত স্বচ্ছ সাবান খুব ভালো।
৪. ডিওডরেন্ট সাবান বা গন্ধহারী/গন্ধনাশক সাবান
এ ধরনের সাবানে ব্যাকটেরিয়ানাশক উপাদান থাকে। এ সাবান শরীরের গন্ধ দূর করে। মুখের ত্বকে অবশ্য এ সাবান ব্যবহার করা যায় না। তবে ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য ডিওডরেন্ট সাবান বেশ উপকারী।
৫. ভেষজ ওষধিযুক্ত সাবান বা মেডিকেটেড সাবান
ত্বক বিশেষজ্ঞরা মেডিকেটেড সাবান ব্যবহার করতে উৎসাহী করেন না। তবে প্রয়োজনে মেডিকেটেড সাবান ব্যবহার করলেও তা দীর্ঘদিনের জন্য ব্যবহার করবেন না। টানা দুই মাসের বেশি এ ধরনের সাবান ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. তরল সাবান
সাবানের আধুনিক সংস্করণ তরল সাবান বা বাম জেল। তরল সাবানগুলো ত্বকের উপযোগী করে তৈরি করা হয় এবং অন্যান্য সাবানের চেয়ে ভালো। এ ধরনের সাবানে ক্ষারীয় ভাব কম থাকে ও নিউট্রাল থাকে বলে ত্বককে শুষ্ক করে না।
একজন ব্যক্তির দিনে দুবার গোসল করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী এটাই স্বাস্থ্যসম্মত। সকাল-সন্ধ্যায় গোসল করা ভালো। সন্ধ্যায় হালকা গরম পানি ও সাবান ব্যবহার করে গোসল করতে হবে। আর সকালে গোসলের সময় শরীরের ভাঁজগুলোতে সাবান মেখে ধুয়ে নিলে ময়লা দূর হবে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান বেছে নিতে হবে এবং ঋতু অনুযায়ী সাবানও পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের পরিবর্তন হয় কিংবা গর্ভকালীন ত্বকের পরিবর্তনের কারণে সাবানের যথাযথ পরিবর্তনও প্রয়োজন।
ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ানাশক ও মেডিকেটেড সাবান মুখে ব্যবহার করা ঠিক নয়। আরেকটা কথা মনে রাখবেন, ত্বকে সাবান ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ভালো করে ধোবেন। ত্বকে সাবানের অবশিষ্ট অংশ লেগে থাকলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।