Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

মুুন্সিগঞ্জে ছোলা বাচ্চু স্ত্রী ও ছেলের জীবন বিপন্ন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজনখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: ছোলা বাচ্চুর এক স্ত্রী ও এক নিয়ে ছেলে নিয়ে সংসার। সে মুন্সিগঞ্জ পোস্ট অফিসের সামনে দর্জির কাজ করতো। দীর্ঘ ৭-৮ বছর যাবৎ শারীরিক ও মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। তার ছেলে ও স্ত্রী কোথায় আছে তাও সে সঠিকভাবে বলতে পারে না। ছোলা বাচ্চু বলললে এক নামে মুন্সিগঞ্জের সকল মানুষ চিনে। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গনকপাড়াস্থ নিজস্ববাড়ীতে বেশ ভালই ছিল সে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের দৌরাত্ব এটাই বেশী যে তার বাড়ি, জায়গা, জমি কিছুই নেই। সকল কিছু হাত ছাড়া তার। শুধুমাত্র কাগজপত্রে মালিকানা সে। বাস্তবে তার সকল কিছু দখলবাজরা দখল করে নিয়েছে। মুুন্সিগঞ্জে ছোলা বাচ্চু, স্ত্রী ও ছেলের জীবন বিপন্ন\ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছে ছোলা বাচ্চুর বোন ভুলু বেগম। আবেদনের বিষয়বস্তু হলো নালিশী নি¤œ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিক হওয়া স্বত্তেও নালিশী সম্পত্তি বেদখল করায় বিষয়টি যাচাই বাছাই করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ছোলা বাচ্চুর বোন আবেদনে উল্লেখ করেছেন। বাচ্চু মিয়া ও বোন ভুলু বেগম উভয় পিতা আব্দুল লতিফ পৌরসভার গনকপাড়াস্থ ৫নং ওয়ার্ডের স্থায়ী আদি বাসিন্দা। তফসিল বর্ণিত সি.এস. ২২৮, ২৩৮, ২৪২, ২৪৩, ২২৭, ৩০৯, ৩১০, ৩১১, ৩৭৫, ৩৭৬, ৩৭৯, ৩৮০, ৩৮৯ দাগের মোট সম্পত্তি ৪.১৩ একর। ওয়ারিশ হিসাবে ১৯২.০০ শতাশং ভূমিতে মালিক ও দখলদার বিদ্যমান। ওয়ারিশ সূত্রে জায়গার মালিক ছোলা বাচ্চু ও ভুলু বেগম প্রভাবশালী না হওয়া এবং টাকার অভাব থাকায় অসহায় অবস্থায় ভাই বোন রাস্তায় রাস্তায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিচারের আশায়। বাকী ওয়ারীশগণ প্রভাবশালী ও টাকাওয়ালা হওয়ায় নালিশী তফসিল বর্ণিত ভূমিতে তারা মালিক হওয়া স্বত্তেও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করিতে ও ভোগদখল করিতে পারছে না।

অপরদিকে গণকপাড়া মৌজাস্থ ৭নং খতিয়ানে ৩৭৪, ২৮৪, ২২৬, ১২৯ ও ১৩০ নং আর. এস দাগে ৪৯ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা স্বত্বেও প্রভাবশালী দখলবাজদের কারণে দখলে যেতে পারছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। নালিশী আর.এস ৭নং খতিয়ানে আর.এস ২৮৪ নং দাগে ২৩ শতাংশ এবং আর. এস ৩৭৪ নং দাগে ৩৩ শতাংশ দুই দাগে মোট ৫৬ শতাংশ ভূমি তাদের দখলে খালি অবস্থায় রয়েছে। তাই নালিশী আর.এস ২৮৪ নং দাগের ২৩ শতাংশ এবং আর. এস ৩৭৪ নং দাগের ৩৩ শতাংশ মোট ৫৬ শতাংশ ভূমিতে চাষাবাদ ও ঘর দরজা উত্তোলন করিয়া বসবাস করার সুযোগ রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকার। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিনে জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মুন্সিগঞ্জ জেলায় আলোচনার ঝড় উঠছে। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছোলা বাচ্চুর পরিবারকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিবে এমনটাই আশা করছে গনকপাড়া এলাকাবাসী।