খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: প্রি অ্যাকভিট ১১টি সিমকার্ডসহ মেহেরপুরের ফতেপুর ও গাংনী শহর থেকে দুই সিম ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। সিম নিবন্ধন করতে আসা গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র চুরি করে সিম নিবন্ধন করে তা দুস্কৃতিকারীদের কাছে বিক্রির অভিযোগে গাংনী থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে। আটককৃতদের নামে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আটককতৃরা হচ্ছে- গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ের এমআর নেট কানেকশনের আক্তারুজ্জামান রানা (২৬) ও সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মা টেলিকমের মামুন হোসেন।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অবৈধপন্থায় সিম নিবন্ধন করে তা উচ্চমূল্যে দুস্কৃতিকারীদের কাছে বিক্রির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় গাংনী শহরের নিজ দোকান থেকে রানাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন নামে প্রি অ্যাকটিভ করা ৯টি রবি ও ২টি বাংলালিংক সিম উদ্ধার করা হয়। রানার স্বীকারোক্তিতে তার সহযোগী মামুন হোসেনকে আজ দুপুরে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করার দুটি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। যেসব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কাছে সিম বিক্রি করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
তিনি আরো বলেন, মামুনের দোকানে আসা নতুন সিম ক্রয় কিংবা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্টেশনকারী ব্যক্তিদের আঙ্গুলের ছাপ কৌশলে দুই বার নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র কপি (এনআইডি) করেও রেখে দেওয়া হয়। ওই এনআইডি ও আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে সিম রেজিস্টেশন করে তা নিজের কাছে সংরক্ষণ করতেন মামুন। পরে তার সহযোগী রানার মাধ্যমে বিক্রি করা হত। তবে শুধুমাত্র এই দুই ব্যবসায়ী জড়িত না এর সঙ্গে মোবাইল ফোন কোম্পানির কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আটক দুজনের নামে দায়ের করা মামলায় আজই তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।