Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9kগাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পা (২৫) কে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত নুশরাত জাহান টুম্পা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কোনাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে।
কাউন্সিলর সোলায়মান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় কয়েক বছর ধরে বসবাস করতেন। সোলায়মান মিয়া সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
নিহত গৃহবধু টুম্পার বাবা মোঃ নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ১২ বছর আগে কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকার হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে টুম্পার বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে নির্যাতন করতো সোলায়মান। সোলায়মান মিয়ার মাদকের নেশা ও নারী সংক্রান্ত ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো।
তিনি বলেন, রোববার বিকালে সোলায়মান, টুম্পা, টুম্পার ভাই সাঈদ ও তার স্ত্রীসহ বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার সময় গাড়িতে স্বামী সোলায়মান মিয়ার মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখতে পেয়ে স্বামীর সঙ্গে টুম্পার ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতে সোলায়মান ও টুম্পাকে তাদের বাসায় নামিয়ে ভাই সাইদ তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। এসময় তাদের সন্তান নাফি (৮) উত্তরাতে তার নানা নজরুল ইসলামের বাসায় ছিল। পরে রাতে কোনো এক সময় টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে কাজের বুয়া বাসায় দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে টুম্পার মাকে ফোন করে।
খবর পেয়ে তারা ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে খাটের উপর টুম্পার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ধ্যায় উত্তরা থানার পুলিশ টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন।
ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউন্সিলর সোলায়মান পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহেদ পারভেজ জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা কি না তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে।