Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
1474561882
খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬: পবিত্র হজ পালন শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে হাজার হাজার মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুল শুভেচ্ছা জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.০২ মিনিটে বেগম জিয়াকে বহনকারী অ্যামিরেটস এয়ার লাইনের একটি বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ভিআইপি গেট দিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গণসংবর্ধনায় সিক্ত হন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। : বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মদিনা থেকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে মদিনা আব্দুল আজিজ বিমান বন্দর থেকে রওনা দেন তিনি। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিবের নেতৃত্ব কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিমান বন্দরে তাদের প্রিয় নেত্রী  বেগম খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমানকে বিদায় জানান। এরপরে আবুধাবীতে ৩ ঘন্টা যাত্রা বিরতি দিয়ে  আমিরাত এয়ার লাইন্সের একটি ফাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান  বিকেল ৫টায় বেগম খালেদা জিয়া। : বিমানবন্দরে বেগম খালেদা জিয়াকে গণসংবধনা : পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরলে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গণসংবধনা দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় রাজপথ ছাড়ি নাই, বেগম খালেদা জিয়ার ভয় নাই সে­াগানে সে­াগানে মুখরিত করে তুলে বিমানবন্দরের ভিআইপি চত্বর। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে খন্ড খন্ড মিছিলে জড়ো হয়। উদ্দেশ্য তাদের প্রিয় নেত্রীকে কাছ থেকে দেখা এবং শুভেচ্ছা জানানো। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিমান বন্দর এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার লেখা নিয়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, টঙ্গি, : নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে দুপুরের পর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় জরো হতে থাকে। পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও নেতাকর্মীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ তাদের বেষ্টনী করে রাখে। বেলা ৪টায় বিমান বন্দর এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশনেত্রীর আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম, রাজপথ ছাড়ি নাই খালেদা জিয়ার ভয় নাই, সেøাগানে আশপাশের এলাকা মুখরিত করে তোলে। নেতাকর্মীদের ঢলে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা মিছিলে সেøাগানে কর্ডন করে দেশনেত্রীর গাড়ি বহরকে গুলশানের বাসায় পৌঁছে দেয়। : সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার সৌদি আরবের মক্কায় ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজ সম্পন্ন করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর হজ করতে বাংলাদেশ থেকে বেগম খালেদা জিয়া এবং লন্ডন থেকে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা জেদ্দা পৌঁছেন। : বেগম খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় হজ ছিল। এর আগে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার এবং ১৯৯৭ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে তিনি হজ করেন। তবে প্রায় প্রতিবছরই রমজানে তিনি উমরাহ পালন করেন। সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব সবগুলো হজ ও উমরার সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন। তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির এটি প্রথম হজ। ২০১৪ সালে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে উমরাহ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুরুউদ্দিন আহমেদ, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও হজ করেন। এছাড়াও সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমদ আলী মকিব সফরকালে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন। : গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার সম্মুখিন হন। এ সময়  বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এই সরকারের কাছ থেকে আমরা সৌজন্যমূলক আচরণ কখনও পাইনি। বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা হজে যাওয়ার সময়ও বিদায় জানাতে দেয়নি সরকার। সরকার মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক আসলে তারা গণতান্ত্রিক নয়। তিনি বলেন, সরকার নিজেরাই সকল স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে বিতর্কিত করছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত হচ্ছে। বিএনপি কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিতর্র্কিত করছে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে সার্চ কমিটি গঠন করা হাস্যকর। যারা সার্চ কমিটি গঠন করতে চান তাদেরকেই আগে সার্চ করতে হবে। : বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা.  জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ কাউয়ুম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর,  হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ খান খোকন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, সহ-সমাজ কল্যাণ ও ঢাকা মহানগলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশার,  সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন মিজবা, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাহানা আক্তার সানু ও রাজীব আহসান, রমেস দত্ত, ডা. মাজাহারুল আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, সহ- সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আবু আল আতিক হাসান মিন্টু, শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, গাজীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননীসহ ঢাকা মহানগর ও ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।