খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: জন্মের পরপরই চিকিৎসক কর্তৃক মৃত ঘোষণার পর দাফনের আগে নড়েচড়ে কেঁদে ওঠা সেই নবজাতক শিশুটি সুস্থ আছে। তাকে ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের ৩ তলায় ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ হতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ৪ সদস্যকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গেছে। তবে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় তথা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ হতে এব্যাপারে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীমকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যরা হচ্ছেন অধ্যাপক শাহজাহান, অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ সাহা ও শওকত আলী জাহিদ। তদন্ত কমিটির সকলেই ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য।
এব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান জানান, ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১২টায় তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে বৈঠকে বসবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ফরিদপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নিরঞ্জন ঢালীর তত্ত্বাবধানে বর্তমানে নবজাতক ওই শিশুটির চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের ৩য় তলায় ইনকিউবিটরে তাকে নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডা. নিরঞ্জন ঢালী জানান, মাতৃগর্ভে মাত্র ৫ মাস ২২ দিন থাকার পর শিশুটি জন্ম নিয়েছে। ওজন হয়েছে ৭ শ’ গ্রাম। তবে বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে শিশু হাসপাতালের ৩য় তলায় গিয়ে দেখা যায়, ইনকিউবিটরের মধ্যে শিশুটি ঘুমাচ্ছে। তাকে স্যালাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশে দু’জন নার্স শিশুটির শুশ্রƒষায় নিয়োজিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ভূমিষ্ট হয় শহরের কমলাপুর নিবাসী নাজমুল হুদা মিঠুর স্ত্রী নাজনীন আক্তারের গর্ভের এ শিশুটির। এরপর সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ডা. রিজিয়া আলম শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করলে তাকে দাফনের জন্য আলীপুর গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে দাফনের পূর্বমুহূর্তে শিশুটি নড়েচড়ে কেঁদে উঠে। এরপর তাকে পুনরায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।