মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি পেয়ার আহম্মদ আকাশ বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন।
বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার খোয়া যাওয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আকাশ। পরে তিনি জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় যান। ফেনীর অস্ত্র মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট ছিল।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক খালিদ আবু বাকের এক বিবৃতিতে পেয়ার আহম্মেদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে গত ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
মালয়েশিয়ার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বুকিত বিনতাং এলাকার রেস্তোরাঁ চালাতেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার পুলিশ পেয়ার আহম্মদকে দাগনভূঞা থানায় হস্তানন্তর করে। সেখান থেকে তাঁর স্থান হয় ফেনী কারাগারে।
ফেনীর জেল সুপার শংকর কুমার পেয়ার আহম্মদের ফেনী কারগারে থাকার কথা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেয়ার আহম্মদ আকাশ ফেনীর দাগনভুঞা থানার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
ফেনীর স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়া অবস্থান করে হুন্ডি, আদম পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন পেয়ার আহম্মদ। একপর্যায়ে তিনি মালয়েশিয়ায় হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। এ হোটেলেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন। তিনি বাংলাদেশে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করছে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।