Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5kkখোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬:  ভারত অধিকৃত কাশ্মীররের স্বাধীনতাকামী নির্যাতিতদের পক্ষালম্বন করতে হবে সকল মুসলমান এবং বিশ্ববিবেককে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তে কাশ্মীরে আজ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃটেন কাশ্মীর ইস্যু অমীমাংসিত রেখে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং একই বছরের ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত করায় কাশ্মীর সমস্যার সূচনা হয়। বৃটিশ য়ড়যন্ত্রেও কারণে কাশ্মীর আজ হত্যাযজ্ঞ ও বধ্যভূমিতে পরিনত হয়েছে। শুধু কাশ্মীর নয়, সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরাকানেও রক্তক্ষরণের এ দগদগে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। বৃটেন কর্তৃক বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে অবৈধভাবে ইসরাইল সৃষ্টি হয়। সেই থেকে আজ অবধি মুক্ত বিশ্ব ও মানবধিকারের প্রবক্তা ইঙ্গ মার্কিন চক্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বেআইনীভাবে প্রতিষ্ঠিত মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া ইসরাইল বিশ্বের শান্তিকামী তথা আরব জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বৃটিশের কূটকৌশল, জাতিসংগের মেরুদন্ডহীনতা ও দায়হীন ভূমিকা এবং মানবতার ধ্বাজাধারী তথাকথিত বিশ্ববিবেকের এক চোখা নীতি মুসলিম জনপদ কাশ্মীরে ভারত পোড়ামাটি নীতি বাস্তবায়নের সুযোগ পাচ্ছে। আগ্রাসী ভারতের পোড়ামাটি নীতির ফলে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত জনপদ কাশ্মীর এখন জ্বলছে। অবরুদ্ধ কাশ্মীরে অঞ্চল জুড়ে শিশু আবাল-রৃদ্ধ বণিতার লাশ আর লাশ। লাশের মিছিলে প্রতি মূহুর্তে যোগ দিচ্ছে অগনিত মানুষ। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী মানবাধিকার লঞ্চি হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বৈতনীতি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিস্ক্রিয়তা ও আধিপত্যবাদী ভারতের আগ্রাসনবাদী নীতির ফলে কাশ্মীরি জনগণকে মুক্তির একমাত্র পথ লড়াই ও প্রতিরোধের পথে ঠেলে দিয়েছে।

তারা বলেন, কাশ্মীরি জনগনের ওপর হামলার বিষয়ে মুক্ত বিশ্ব ও মানবাধিকারের প্রবক্তাদের নীরবতায় উপর্যুক্ত দেশসমূহ এসব অঞ্চলে বর্বরোচিত সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ থেকে মুসলিমবিশ্বকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ। আগ্রাসন থেকে কোন মুসলিম দেশই রেহাই পাবে না। বাঁচতে হলে মুসলিম উম্মাহকে শীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, কাশ্মীর উপত্যকায় ভারত জোর করে পাঁচলাখের বেশী সেনা দিয়ে কাশ্মীর দখল করে রেখেছে। তারা সেখানে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়র চালাচ্ছে। ভারতীয় নৃশংসতার বিরুদ্ধে মুসলমান সহ বিশ্ববিবেককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কাশ্মীর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তা উপলব্ধি করতে হবে। তা উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। কাশ্মীর এখন সন্ত্রাসবাদের শিকার। ছয়দশক দীর্ঘ এই সন্ত্রাবাদী যুদ্ধের কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।