খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬: যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের উপস্থিতিতে নেত্রকোণা জেলা মহিলা লীগের সম্মেলনে সাংবাদিকদের বেধরক পিটুনি ঘটনার বিচার চেয়ে মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোণা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে শহরের পৌর ভবনের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোণা সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি এ কে এম আব্দুল্লাহ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আলপনা বেগম , কেন্দুয়া উপজেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক লাইমুন হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ।
সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষ, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী , সংসদ সদস্যদের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। গনতন্ত্রের জন্যে , বাক স্বাধীনতার জন্যে , মিডিয়ার স্বাধীনতার জন্যে এ ধরনের হামলা অশুভ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে সবদিক দিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন তখন সাংবাদিকদের ওপর হামলা এই পরিবেশকে নষ্ট করার অপচেষ্টা। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার পাবলিক হলে জেলা মহিলালীগের সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় উপস্থিত ছিলেন।সম্মেলনে মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পিনু খান,সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু, দপ্তর সম্পাদক কামরুননেছা মান্নান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান,মন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বড়ভাই ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠু উপস্থিত ছিলেন। কামরুন্নেছা আশরাফ দীনার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথিদের বক্তব্য শেষে নতুন কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ চারজনের নাম ঘো্ষণা করেন মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছমা জেরিন ঝুমু।এসময় দলটির একটি অংশ ঘোষিত এই নতুন কমিটি মানিনা বলে হামলা,ভাংচুর শুরু করে। এ সময় সম্মেলনস্থলে থাকা চেয়ার ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়।তাদের হামলায় প্রথম আলো ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক আহত হন।
শনিবার রাতে এ গটনায় দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে শহরের সার্কিটহাউজের সামনে থেকে আসাদকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আসাদকে জামিন দেয়।