খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০১৬:
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে দেশের প্রথম ক্যাঙ্গারু শাবক।
ছানাটি গত মে মাসে জন্ম নিলেও রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে বিষয়টি এতদিন গোপন রাখা হয় বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী তত্ত্বাবধায়ক আনিসুর রহমান বলেন, জন্মের পর থেকে মায়ের থলেতেই ছিল ছানাটি। দুই মাস আগে থলে থেকে বের হলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের অগাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রেড ক্যাঙ্গারু প্রজাতির দুটি নারী ও একটি পুরুষ আনা হয়। দুটি মেয়ের মধ্যে একটি গত ৪ মে একটি মাদি বাচ্চা প্রসব করে।
গত অগাস্ট মাসের শেষের দিকে বাচ্চাটি থলে থেকে বের হয় বলেও জানান তিনি।
পার্কের আরেক বন্যপ্রাণী তত্ত্বাবধায়ক সরোয়ার হোসেন খান জানান, প্রাপ্ত বয়স্ক ক্যাঙ্গারুগুলোকে এখানে বরবটি, পালংশাক, গাজর, পাকা কলা, আপেল, শসা, কচি ঘাস খেতে দেওয়া হলেও। বাচ্চাটিকে আলাদা কোনো খাবার দেওয়া হচ্ছে না। সে মায়ের দুধই খাচ্ছে।
ক্যাঙ্গারু ছানা সাধারণত ২৩০-২৩৫ দিনের মত মাতৃদুগ্ধ পান করে বলেও জানান তিনি।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী ক্যাঙ্গারুর মূল আবাসস্থল অস্ট্রেলিয়ায়। এছাড়া পাপুয়া নিউ গিনি, তাসমানিয়ার আশপাশের দ্বীপগুলোতে এদের দেখা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্যাঙ্গারু ১২ থেকে ১৬ বছর এবং আবদ্ধ অবস্থায় ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং পৃথিবীতে ৫০ প্রজাতির ক্যাঙ্গারু আছে বলে এ পার্ক কর্মকর্তা জানান।
সরোয়ার হোসেন বলেন, সুস্থ-সবল ক্যাঙ্গারু দুই বছরে তিনবার বাচ্চা প্রসব করে। এরা প্রজননের জন্য মিলিত হওয়ার মাত্র ৩৩ দিনের মধ্যে বাচ্চা দেয়।
“প্রসবের সময় ক্যাঙ্গারু ছানার আকার থাকে তিন-চার সেন্টিমিটার। লোমহীন ও গোলাপি রঙের শাবক মায়ের থলের ভেতরেই আড়াই/তিনমাস অবস্থান করে দুধ পান করে।
“চার মাস বয়স হলে গায়ে লোম ও হাত-পা দৃশ্যমান হয় এবং চলাফেরা করতে পারে। তখনই সে থলে থেকে বাইরে বের হয়ে আসে।”
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পার্কের ক্যাঙ্গারু দম্পতির ঘরে বাচ্চা এসেছে।এর আগে গত বছর সিংহীরাও ১৪ বাচ্চা প্রসব করে।