খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬ :
০৬ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক স্মৃতি ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান, এনডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য, বিশিষ্ট সংগঠক ও জাতীয় মানবাধিকার সমিতি’র মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা আমেরিকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারী ক্লিনটন। তিনি আমেরিকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দ্বিধাদ্বন্দ্ব-জড়তা ভুলে গিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীময় গণতন্ত্র টেকসই করার জন্য ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটনকে ভোট দিন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক চড়াই-উৎড়াই-এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার রাজনীতিতে এই প্রথম কোন নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিপূর্বে তিনি যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তখন তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠতার সাথে পালন করেছেন। সারা বিশ্বে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য আমেরিকাবাসীর একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। কোনোমতেই তারা তাদের এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না বলেও তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে নানাভাবে এখনো নারীরা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। নির্বাচনের শুরুতেই হিলারী ক্লিনটন প্রতিটি ধাপে যখন অগ্রগামী হচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর ই-মেইল ফাঁস করা গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে সর্বশেষ জরিপেও তিনি এগিয়ে আছেন। এখন আমেরিকার সম্মানিত ভোটারদের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতেই ও তাদের ভোটের মাধ্যমেই চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, কে হবে আগামী দিনের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি আরো বলেন, হিলারী ক্লিনটনের প্রতিপক্ষ হিসেবে যিনি দাঁড়িয়েছেন, ইতিমধ্যে ট্রাম্পের কর্মকা- ও বক্তব্য গোটা বিশ্বের কাছে তাঁর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মুহূর্তে যিনি সিদ্ধান্ত বদলে কথা বলতে পারদর্শী তিনি কোনোভাবেই আমেরিকার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না। আমরা আশা করছি, শেষ মুহূর্তে আমেরিকার জনগণ আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারী ক্লিনটন শপথ গ্রহণ করবেন এই দৃঢ় প্রত্যাশা করছি। তিনি অপর এক শোক বিবৃতিতে শিশু চিকিৎসার পথিকৃত অধ্যাপক এম. আর. খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, বাংলাদেশের আকাশ থেকে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেল। তিঁনি ছিলেন শিশুবন্ধু এবং চিকিৎসাঙ্গনে একজন বিরল প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। জাতীয় অধ্যাপক এম. আর. খানের মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসাঙ্গনে তা সহজে পুরণীয় নয়।
