Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
14962476_1257077321022740_1558345359_nখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬:পিরোজপুর জেলা ঘুরে এসে বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমানঃ  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পিরোজপুর জেলার পূর্ন:গঠন করার জন্য কেন্দ্র থেকে বারাবার তাগিদ দিলেও জেলার কিছু স্বার্থনেষী মহল বা নেতাদের কারনে এই জেলার পূর্ণ:গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই জেলার নেতাদের বিষয়ে দলের চেয়ারপার্সনসহ সকল পর্যায়ের র্শীষ নেতাদের দিনে দিনে অসন্তোষ বেড়েই চলছে।

সম্প্রতি পিরোজপুর জেলা ও ইউনিট পর্যাযের নেতাদের নিয়ে ঢাকায় ০১ লা নভেম্বর ভাষানী মিলনায়তনে সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ০৫:০০ পর্য়ন্ত সভা করে বিভগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পিরোজপুর জেলার সকল ইউনিটের নেতৃবিন্দদের নিয়ে। সভায় ২০ নভেম্ববরের মধ্যে জেলার সকল থানা ও পৌরসভার সম্মেলন করে এবং ২৭ নভেম্বর জেলায় সম্মেলন করতে বলা হয় ।

পিরোজপুর জেলায় ১১ টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটেই দলের মধ্যে রয়েছে নানা রকম গ্রুপিং। তবে শুধু মাত্র নাজিরপুর উপজেলায় এর কিছুটা ব্যাতিক্রম দেখা গিয়েছে।জেলার বাকি ইউনিট গুলোতে নানা রকম গ্রুপিং দেখাযায়।

পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মনে করেন বর্তমানে যারা জেলা বিএনপি’র কমিটির দ্বায়িত্বে রয়েছেন তাদের পক্ষে জেলার সকল ইউনিটে সম্মেলন করে কমিটি করা, আবার জেলায় সম্মেলন করা, এই নেতাদের পক্ষে সম্ভব না।

পিরোজপুর জেলার ইউনিট পর্যায়ের নেতারা জানান, জেলার বর্তমান সভাপতি তার ব্যক্তি-স্বার্থে জেলার প্রতিটি ইউনিটেই দ্বন্দ লাগিয়ে রেখেছেন ; এমনকি প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়েও এই দ্বন্দ ও গ্রুপিং চলছে শুদুমাত্র এই নেতার বদৌলতে।
মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে  জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেনের বিষয়ে মতামত ভিন্ন্ । তারা মনে করেন জেলার সাধারণ সম্পাদকের পিরোজপুর জেলায় ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। তিনি এই সকল নোংরামি বা দলীয় গ্রুপিংয়ের উর্দ্ধে। সাধারণ সম্পাদক সর্ম্পকে ইউনিটের নেতারা আরো বলেন তাদের সকলের সাথে এই নেতা রয়েছে রাজনৈতিকভাবে নিবিড় সর্ম্পক, তিনি দলের জন্য নিবিদিত এক  প্রাণ।

পিরোজপুর জেলাইয় শুধুমাত্র বর্তমান সভাপতির গ্রুপিং আর ব্যক্তি-স্বার্থের কারনে জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন জেলার দ্বন্দ মেটাতে পারছেননা ।

অধ্যাপক আলমগীর হোসেনের এই জেলার  প্রতিটি ইইউনিটে রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথেও  সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেনে রয়েছে নিবিড় সর্ম্পক।

পিরোজপুর জেলা ও ইউনিটের নেতারা জানান, এই জেলায় কিছু কিছুু নেতা আছে দলকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনে করে। তাই তারা নেতাকর্মীদের সাথে চাকর-বাকরদের মত ব্যবহার করেন। যার কারনে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের প্রতি দিনে দিনে আগ্রহ হারাচ্ছেন। গ্রুপিং আর ব্যক্তি-স্বার্থের কারনে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দিচ্ছেনা কোন পদ-পদবী।
পিরোজপুর জেলা ও ইউনিটের নেতারা জানান, আমাদের জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন হয়েছেন একরকমের ছাই চাপা আগুন। তিনি সুযোগ পেলেই জলে উঠেন। তাই তাকে সভাপতি করে যদি কেন্দ্র থেকে কমিটি দেওয়া হয় তারা তা মেনে নিবেন।
নেতাকর্মীদের কাছে জেলার সাধারণ সম্পাদক কে হবেন জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের পিরোজপুরের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি ভালভাবে অবগত। তারা জানেন কাকে সাধারণ সম্পাদক করা হলে পিরোজপুর জেলা বিএনপি শক্তিশালী হবে আর থাকবে না কোন দ্বন্দ ও গ্রপিং। তবে তারা দুই-একজনের নামও বলেন।
আশার কথা হলো পিরোজপুর জেলার প্রায় সব নেতাকর্মীরা মনে করেন এবং ভাবেনও পিরোজপুর জেলায় অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে সভাপতি করা হলে তার রাজনৈতিক ক্যারিশমাটিকে পিরোজপুর জেলা বিএনপি অনেকটা ঘুরে দাড়াবে এবং প্রতিটি ইউনিট হবে শক্তিশালী ; তারা আরো বলেন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন এর পক্ষেই সম্ভব পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র দ্বন্দ ও গ্রুপিং নিরসন করে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীদিনের রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছা দেওয়া।