খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬: রাষ্ট্র-সরকার গণমাধ্যমের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এবং গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলে। তাই গণতন্ত্রের সুস্থ চর্চায় গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মধ্যে গণমাধ্যমকে পাল্টে দিয়েছে টেলিভিশন।
সোমবার সকালে রাজধানীর বাগিচা রেস্তুরায় মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বিশ্ব টেলিভিশন দিবস-২০১৬’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী জানান, গণমাধ্যমের সুষ্ঠু চর্চার জন্য সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন হচ্ছে। সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন গণমাধ্যম, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক চর্চায় ভূমকা রাখবে। ২০১৭ সালের মধ্যে সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন গঠন সম্পন্ন হবে।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই ওয়েজবোর্ড পাচ্ছেন না। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সবাইকে ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হবে। ইলোকট্রনিক মিডিয়ার সকল সাংবাদিক যেন ওয়াইজবোর্ড পান তার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, গণমধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে। তবে কাদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন গণমাধ্যম আক্রমণের শিকার হচ্ছে মাফিয়া, সন্ত্রাসী, জঙ্গীদের দ্বারা।
ইনু বলেন, জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের শত্রু, গণমাধ্যমেরও শত্রু। তাই গণতন্ত্রের সুষ্ঠ চর্চার জন্য গণমাধ্যম এবং সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জঙ্গী নির্মূলে গণমাধ্যম সরকারের পাশে থাকবে।
বিশ্ব টেলিভিশন দিবস- ২০১৬’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ‘সম্প্রচার সাংবাদিকতার উন্নয়ন অগ্রগতি : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী এম এম বাদশাহ।
লায়ন এম কে বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, ডি আর ইউ’র সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বিজিএমইএ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, উইকলি সপ্তাহজুড়ে’র সম্পাদক সিকদার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।