Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০১৬:59 বিপিএল খুলনা টাইটান্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ৬ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট রংপুরের। ৭ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে খুলনার অবস্থান দুইয়ে।
ম্যাচ সেরা হন রংপুর রাইডার্র্সে পাকিস্থানী অলরাউন্ডার বুম বুম খ্যাত শহীদ আফ্রিদি । মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৫ রান। জবাবে, ১৯ ওভার ব্যাট করে রংপুর ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। খুলনার হয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন আন্দ্রে ফ্লেচার এবং আবদুল মজিদ। খুলনার ওপেনার আবদুল মজিদকে সাজঘরে পাঠান রংপুরের স্পিনার আরাফাত সানি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আরাফাত সানির বলে বোল্ড হন ১৩ বলে ১০ রান করা মজিদ। দলীয় ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
পঞ্চম ওভারে আবারো আক্রমণে আসেন সানি। চতুর্থ বলে আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই টাইগার স্পিনার। ৮ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন প্লেচার। দলীয় ২০ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় খুলনা। ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে দেন আফ্রিদি। আনোয়ার আলীর তালুবন্দি হওয়ার আগে রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। দলীয় ৩৮ রানে খুলনার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। রিয়াদের বিদায়ের পর জুটি গড়েন তাইবুর রহমান এবং রিকি ওয়েসেলস। এ জুটি থেকে আসে আরও ৫৬ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে এসে টাইগার পেসার রুবেলন হোসেন রংপুরকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। রিকির বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৯৪ রানের মাথায়। একই ওভারে তাইবুরকেও ফিরিয়ে দেন রুবেল। রিকি রংপুর দলপতি নাঈম ইসলামের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ৩৩ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৭ রান। আর মোহাম্মদ শাহজাদের গ্ল্যাভসবন্দি হওয়ার আগে তাইবুর ৩৭ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩২ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে বেনি হাওয়েলকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। শেষ ওভারে আফ্রিদিকে দুটি ছক্কা হাঁকানো আরিফুল হক ১৩ বলে ২২ রান করে শেষ বলে রানআউট হন। অলোক কাপালির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩ রান। দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে ৪৪ রানে খুলনাকে গুটিয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছিল রংপুর। তাই এ ম্যাচে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ছিল খুলনা। কিন্তু, এবারও হতাশ হতে হলো তাদের।
১২৬ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। রংপুরের এই ওপেনার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের বলে বিদায় নেন। শফিউল ইসলামের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৩ বলে মাত্র ৩ রান করেন সৌম্য। দলীয় ১৩ রানের মাথায় রংপুর প্রথম উইকেট হারায়। এরপর জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মোহাম্মদ শাহজাদ। এই জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফেরেন শাহজাদ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে অলোক কাপালির হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি ৩৮ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩৭ রান। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় রংপুর তাদের দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

মোহাম্মদ মিঠুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৯ রান নিয়ে। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার আর তিনটি ছক্কার মার।২ বার জীবন পাওয়া আফ্রিদি ১৮তম ওভারে হাওয়েলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ২৬ রান। তার ২০ বলের ইনিংসটি ছিল ২টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো। আফ্রিদি-মিঠুন জুটি থেকে আসে ৩৫ রান।

রংপুর একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, লিয়াম ডসন, নাঈম ইসলাম (অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, জিয়াউর রহমান, আনোয়ার আলী, সোহাগ গাজী, আরাফাত সানি ও রুবেল হোসেন।

খুলনা একাদশ: আন্দ্রে ফ্লেচার, আবদুল মজিদ, রিকি ওয়েসেলস, মাহমুদুল্লাহ (অধিনায়ক), অলোক কাপালি, আরিফুল হক, বেনি হাওয়েল, তাইবুর রহমান, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন ও জুনায়েদ খান।

চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে তামিমের চিটাগং ভাইকিংস মুখোমুখি হবে মুশফিকের বরিশাল বুলসের