খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬:সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় নৌ-ফারি স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এডিশনাল ডি আই জি) মোঃ রফিকুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা থানাধীন নৌ-পথের চাঁদাবাজীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।জানা যায়, জামালগঞ্জ থানাধীন সুরমা, বৌলাই নদীর মিলনস্থল ধর্মপাশা থানাধীন জয়শ্রী সানবাড়ী নদীর মিলনস্থল পরিদর্শন করে জামালগঞ্জ থানাধীন লালপুর গ্রামের নদীর ওপাড়ে হোসেনপুর গ্রামের এফ আই বি ডি ভি এর পরিত্যক্ত বিদ্যালয়টিকে নৌ-ফারী থানা করার জন্য প্রস্তাব করেন।
এবং জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমানকে এফ আই বি ডি ভি ও স্কুলের ভূমিদাতাদের সাথে আলাপ করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর দিকে ধর্মপাশা থানাধীন জয়শ্রী ইউনিয়নের সানবাড়ী বাজারে আরেকটি নৌ-ফারী স্থাপনের কথা জানান। বিগত কিছু দিন যাবত জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও ধর্মপাশার নৌ-পথে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশ হলে ও নৌ-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করার পর নজর দেন উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এ সংবাদে সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এডিশনাল ডি আই জি) মোঃ নজরুল ইসলাম জামালগঞ্জ এসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, নৌ-শ্রমিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধে নৌ-পুলিশ ফারী স্থাপনের আশ্বাস দিয়ে যান। এর কিছু দিন পর গতকাল বুধবার দুপুরে ভৈরব থেকে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত এডিষনাল ডি আই জি সরজমিনে পরিদর্শনে জামালগঞ্জ এসে উল্লেখিত স্থানে নৌ-পুলিশ ফারী স্থাপনের কথা জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পুলিশের পূর্ব বিভাগের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মান্নান (পি পি এম), জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান, ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কিবরিয়া, সুনামগঞ্জ নাগরিক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ আলী, জয়শ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম, সানবাড়ী বাজারের সমাজকর্মী নান্টু সরকার, সুনামগঞ্জ নৌ-পরিবহন শ্রমিক সমিতির সভাপতি সাফিজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ ব্যাপারে সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন আমার ইউনিয়নে লালপুর গ্রামের নদীর উত্তর পাড় হোসেনপুর গ্রামে এফ আই বি পি ভির পরিত্যক্ত বিদ্যালয়টিকে মনোনীত করা হলে এই এলাকার নদী পথে চাঁদাবাজী অনেকটাই কমে আসবে। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন ডি আই জি স্যার হোসেনপুর গ্রামের এফ আই বিডিভির পরিত্যক্ত স্কুলটিকে পছন্দ করেছেন। এবং আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা এবং এফ আই বি ডি ভির কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে জানানোর জন্য বলেছেন।