খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬:জামালপুর আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর নানা অপকৌশল অবলম্বন করে জয়যুক্ত হওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. জাহিদ আনোয়ার। আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় তমালতলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. জাহিদ আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অশুভ প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীসহ তার সহায়ক শক্তি হিসেবে ডামী প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. সরোয়ার জাহান এবং ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম প্রতিদন্দ্বীতা করছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, জামালপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মির্জা আজমের ছত্রছায়ায় নির্বাচনী প্রচারের নামে আনারস প্রতীকধারী ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আনারস প্রতীক এজেন্টদের দেখিয়ে ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে সিল মারতে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন, আনারস প্রতীকে ভোট প্রদান করার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, আমার ঘোড়া প্রতীকে প্রচারে বিঘœ ঘটাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে যাতে প্রবেশ করতে না পারি সেজন্য ভোটারদের পরিষদের বাইরে থাকতে হুমকী দেয়া হচ্ছে, ভোটারদের বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য নতুন সিম সরবরাহ করা হচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপবাদ ও কুৎসা রটনা করে নির্বাচনে ক্ষতির প্রভাব ফেলছে,২৪ ডিসেম্বর ডামী প্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুলের মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমসহ ভোটারদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এতে ধারণা করা হচ্ছে উৎসবের নামে মূলত অপকৌশল অবলম্বন করে ভোটারদের প্রভাবিত করার তৎপরতা চলছে, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের এবং ভোটারদের আনারস প্রতীকের পক্ষে প্রভাবিত করছে বলে আমাদের কাছে অনেক ভোটাররা অভিযোগ করেন।
আমরা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জামালপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হউক। আর নির্বাচনকে অবাদ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হলে প্রভাব মুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে হবে। এর জন্য জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপিসহ নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী সরকারের উর্ধ্বতন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন সরকারী-বেসরকারী ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাতে না আসে নির্বাচন কমিশনকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং জামালপুরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি নিয়োগ করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।