খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি ২০১৭: কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত ১৯৭৮খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশু নিকেতনে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার ফাাঁকে এ চুরির ঘটনা ঘটে থাকে বলে বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে। এ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ প্রতীমা রায় চৌধুরী জানান,বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড সফিকুল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যান।এসময় কে বা কারা পিছন দিক থেকে দেয়াল টপকিয়ে তার (অধ্যক্ষের কক্ষ) কক্ষের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে,পার্শ্ববর্তী কম্পিউটার রুমেও একই কায়দায় ঢুকে প্রবেশ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কক্ষের ৩টি ও কম্পিউটার রুমের ১টি আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে। সেইসাথে শিক্ষকদের ব্যবহৃত ২টি ফাইল ক্যাবিনেটও ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু কোন কিছু না পেয়ে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র,সিলেবাস,কাগজপত্র ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক তছনছ করে ফেলে। নামাজ শেষে নাইটগার্ড ফিরে এসে ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পেয়ে কক্ষের পাশে আসতে না আসতেই দুর্বৃত্তরা সব ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রতীমা রায় এসে পুলিশে খবর দেন এবং তাদের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সকল জিনিস মিলিয়ে দেখেন।তবে তিনি আশংকা করেন বিদ্যলয়ে ভর্তি কার্যক্রম চলছিল জেনে দুর্বৃত্তরা নগদ কোন ক্যাশ পাওয়া যায় কিনা সেজন্য জানালা ভেঙ্গে ঢুকতে পারে। ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকগণও এসে হাজির হন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্মল চন্দ্র দাস জানান,যেহেতু বিদ্যালয়ে একটি দুর্নীতি মামলা চলছে সে কারনে দুর্নীতির ফাইল চুরি করার উদ্যেশ্যেও দুর্বৃত্তরা অধ্যক্ষের রুমে ঢুকতে পারে।
এদিকে, রাতেই সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল ইসলাম,সহকারি পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার ওসি আব্দুস সোবহানসহ ডিবি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রধান দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ জানান,রাত ১১টার দিকে এ ব্যাপারে সদর থানায় অজ্ঞাত নামে একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আব্দুস সোবহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,যত দ্রুত সম্ভব সময়ে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা হবে।